জেলা

অভিষেক জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিনে ফের তাণ্ডব কালিয়াগঞ্জে, থানা আগুন ধরিয়ে দিল কেএলও জঙ্গিরা, আহত ৪০ জন পুলিশ

জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিনে আবারও তাণ্ডব কালিয়াগঞ্জে। মঙ্গলবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির দুটি ভাগ- জনসংযোগ, গ্রামবাংলার মতামত। হচ্ছে ৩ থেকে ৫টি করে সভাও। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই থানায় তাণ্ডব চালানোর মতো জঘন্য কাজ করেছে বিজেপি দাবি তৃণমূলের। এদিন কালিয়াগঞ্জ থানায় হামলা চালানো হয়। আগুন লাগানো থেকে শুরু করে ইট-পাথর বৃষ্টি, বোতল ছোঁড়া, মারধর, বোমাবাজি- বাদ থাকেনি কিছুই। বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে কেএলও জঙ্গি আছে বলেও অভিযোগ। সবুজ শিবিরের দাবি, কেএলও নেতা জীবন সিংহের পরিকল্পনা। অতর্কিত হামলায় আহত হন প্রায় ৪০ জন পুলিশ।  অভিষেক বর্তমানে ৩ দিনের কর্মসূচিতে কোচবিহারে। রাজ্য জুড়ে আলোচনার বিষয় হয়েছে ‘নিজের প্রার্থী নিজে বাছুন’। তবে তাঁর সফরের আগেই ‘উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হবে’- এই দাবি আবারও করেছিলেন অনন্ত মহারাজ। তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে একাধিক বিজেপি নেতার। কেএলও এবং বিজেপি নেতাদের দাবি, উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হোক। অনন্ত মহারাজের দাবিও তাই। সবুজ শিবিরের অভিযোগ, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও এবং বিজেপির সুর বারবার এক হয়েছে। অভিযোগ, অভিষেকের সভা ও কর্মসূচি বানচাল করতে ও তাঁর জনপ্রিয়তা থেকে মোড় ঘোরাতেই কালিয়াগঞ্জকে আবার উত্তপ্ত করতে থানায় হামলা করার চক্রান্ত করেছে বিজেপি। সুপরিকল্পিতভাবে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় থানার মধ্যে একটি ঘরে। পরিকল্পিতভাবে থানা আক্রমণের ছক কষে জঙ্গিরা। বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, পাথর এবং বোমা। বিভিন্ন গলি থেকে পুলিশকে আক্রমণ করে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয় বিক্ষোভকারীদের লাঠি উচিয়ে পুলিশ তাড়া করলে, বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশ ফোর্স এর ওপর ছোড়া হয় কাচের বোতল ও ইট। পুলিশ ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে কাঁদোনে গ্যাসের সেল ছুঁড়তে শুরু করে। প্রথমদিকে পুলিশ ফোর্স কম থাকায় উন্মুক্ত জনতাকে রুখতে পুলিশকে কিছুটা পিছু হটতে হয়। সেই সুযোগে জঙ্গিরা উন্মুক্ত জনতাকে নিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। যদিও পুলিশ সেই অভিসন্ধি বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ জল কামান ব্যবহার করে। পুলিশ ফোর্স-এর উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পায় কালিয়াগঞ্জ থানা। গোয়েন্দাদের দাবি জঙ্গিরা থানার ভেতরে ঢুকে আগুন লাগাবার ছক কষে ছিল। তাতে তারা সফল হয়। তবে বিশাল অংশে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে জল কামান থেকে জল ছুড়ে যারা থানার মধ্যে যারা ঢুকে পড়েছিল তাদের হটাতে সক্ষম হয় পুলিশ। তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘এই জঘন্য কাজ বিজেপি করেছে’।