কলকাতা

‘মমতা সরকারের উন্নয়নের মডেলকে স্বীকৃতি দিল মোদি-যোগীরা’, বিজ্ঞাপন নিয়ে যোগীকে ‘ঠগী’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের

উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে জ্বলজ্বল করছে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুল ছবি। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পায়ের কাছে জ্বলজ্বল করছে মা উড়ালপুলের অংশ। সঙ্গে লেখা, ‘ট্রান্সফরমিং উত্তরপ্রদেশ আন্ডার যোগী আদিত্যনাথ’, অর্থাত্‍ যোগীর নেতৃত্বে কীভাবে বদলে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, তারই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে আজকের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। তা নিয়েই যত বিতর্ক। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথমে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুকুল রায়, কুণাল ঘোষ, প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী-সহ একাধিক নেতা এ নিয়ে তোপ দেগেছেন।এই সেই বিতর্কিত বিজ্ঞাপন। তারপরও রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সমীর চক্রবর্তী। সেখান থেকেই যোগী আদিত্যনাথকে ‘ঠগী আদিত্যনাথ’ বলেও কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংবাদিক বৈঠক করে এবার ডেরেক ও’ ব্রায়েন বললেন, ‘অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ওরা বুঝতে পেরেছে যে মমতা

বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কতটা উন্নয়নের কাজ করেছে। ধন্যবাদ, অভিনন্দন।’ ডেরেকের বক্তব্য, ‘ভোটের আগে উনি রাজ্যে এসে বারবার সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছিলেন। বলছিলেন, এখানে কোনও কাজ হয়নি। কিন্তু এবার নিজের রাজ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য এখানকারই ছবি ব্যবহার করতে হল। তাতেই বোঝা গেল, অবশেষে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য অনেক এগিয়ে। এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।’ এরপর আরও খোঁচা দিতে গিয়ে ডেরেক বলেন, ‘চাইলে উনি আমাদের রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে আরও চারটি বিজ্ঞাপন বানাতে পারেন। আমরা তাঁকে পরামর্শ দিলাম।’ ডেরেক বলেন, ”উত্তরপ্রদেশ সরকার তো একটি উন্নয়নের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমরা তাঁদের পরামর্শ দিতে পারি আরও কয়েকটি এই ধরনের

বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার। ভোটের কয়েক মাস আগে যোগী উন্নয়নের প্রকৃত মডেলের সন্ধান পেয়েছেন।” এরপরেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের তুলনা টেনে বেশিকিছু পরিসংখ্যান দেন। ডেরেক বলেন, ”বিজেপি যে মমতাদির উন্নয়নের মডেলকে মেনে নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি। কারণ ২০২৪ সালে যে লোকসভা ভোট হবে সেখানেই তাঁর মডেলই জয়ী হবে।” এর পাশপাশি সমীর চক্রবর্তী বলেন, ”উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন খুঁজে না পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের উন্নয়নকে নিজেদের উন্নয়ন বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।” তিনি আরও বলেন, ”উন্নয়নের নামে কী দেখাবেন? হাথরাস? ২০২০ সালে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। করোনার লাশ উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেসে বিহার হয়ে মালদহে আসছে। তার সত্‍কার করতে হচ্ছে, মমতার সরকারকে। তাই এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মমতার উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ।” যদিও বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই সংবাদপত্রটির উপর দায় চাপিয়েছে যোগী সরকার।

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/1203408956831004