দেশ

বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দলা পাকানো দেহ শনাক্ত করতে পারছে না পরিবার, ভরসা ডিএনএ পরীক্ষা

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশা বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শয়ে শয়ে যাত্রীর। তবে ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়েছে উদ্ধারকার্য। রেললাইনের সারাই কাজও প্রায় শেষের দিকে। বালেশ্বর লাইনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। আহতদের উদ্ধার করে দিল্লি এবং ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে প্রত্যেকের। তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত, দলা পাকানো দেহ গুলো শনাক্ত করা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ওড়িশা সরকার। শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষের ফলে যে বীভৎস চেহারা নিয়েছে মৃত যাত্রীরা তাঁদের শনাক্ত করতে পারছে না পরিবার। সারি সারি মরদেহ জমা রয়েছে এখনও হাসপাতালের শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে। যাদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। কোন কোন মৃতদেহকে নিজেদের

banganews.net

পরিবারের সদস্য ভেবে দাবি করছে একসঙ্গে দুই পরিবার। ওড়িশা রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বর AIIMS-এর মর্গে রয়েছে ১২৩টি দেহ। রাজধানীর হাসপাতালগুলোর মর্গে রয়েছে ৭০টি দেহ। যাদের এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভুবনেশ্বর মেডিক্যাল কলেজ কমিশনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু মৃতদেহের অবস্থা এতটাই ভয়ানক যে তাঁদের দিকে তাকানো দুর্বিষহ। পরিবার শনাক্ত করবে কেমন করে। এই ক্ষেত্রে সমাধানের একমাত্র উপায় ডিএনএ পরীক্ষা’। ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ কুমার জানা বলেন, করমন্ডল এবং মালগাড়ি দুর্ঘটনায় ওড়িশা থেকে মৃত ২৭৫ জনের মধ্যে ১৫১ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে। শনাক্ত দেহগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পরিবারের হাতে। তিনি এও জানান, মৃতদেহ গুলোকে তাঁদের গন্তব্য পৌঁছানোর জন্যে বিনামূল্যে পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে অশনাক্ত দেহগুলো নিয়ে এখনও জটিলতায় ওড়িশা সরকার।