দেশ

আগামীকাল থেকে শুরু ট্রেন পরিষেবা, জেনে নিন কীভাবে কাটবেন টিকিট?

নয়াদিল্লিঃ তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই দেশে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।  এমনটাই অন্তত ইঙ্গিত দিল ভারতীয় রেল। লকডাউনের জেরে ২৫ মার্চ থেকে প্রায় ৫০ দিন বন্ধ দেশের সমস্ত ধরনের ট্রেন পরিষেবা। আগামী ১২ মে থেকেই ট্রেন পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। সোমবার থেকেই টিকিট বুক করতে পারবেন যাত্রীরা। ১২ মে থেকে নির্বাচিত কয়েকটি জোনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক। শুরুতে ১৫ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। আর তার জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে যাচ্ছে ১১ মে সোমবার থেকেই। নিউ দিল্লি স্টেশন থেকে হাওড়া, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর সহ মোট ১৬টি গন্তব্যে এই ট্রেনগুলি চালানো হবে। তবে এই ট্রেনে চড়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আরোপ করেছে মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাল বিকেল চারটে থেকে শুধুমাত্র আইআরসিটিসি’র ওয়েবসাইটে টিকিট বুকিং করা যাবে। স্টেশনগুলির সমস্ত টিকিট বুকিং কাউন্টার বন্ধ থাকবে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট সহ কোনও টিকিটই মিলবে না। শুধুমাত্র কনফার্মড টিকিট থাকলে তবেই যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে পারবেন। প্রত্যেক যাত্রীকে ফেস কভার পরতে হবে। ট্রেনে ওঠার আগে মেডিক্যাল স্ক্রিনিং হবে। সঙ্গে বৈধ টিকিট থাকলেও কোনও যাত্রীর দেহে করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না। মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কোভিড কেয়ার সেন্টারের জন্য ২০ হাজার কোচ এবং প্রতিদিন ৩০০টি করে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর জন্য পর্যাপ্ত ট্রেন রিজার্ভ রেখেই এই যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হবে। তবে শুধুমাত্র এসি কোচ চলবে। ট্রেনগুলির ভাড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল হবে। তবে কোন ট্রেন কোথায় কোথায় থামবে, তা পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে এই ঘোষণার পরেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, যাত্রীবাহী এই স্পেশাল ট্রেনগুলিতে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে মানা হবে, তার স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত ১২ মে থেকে এই ট্রেন চালু হলেও লকডাউনের মধ্যে যাত্রীরা কীভাবে স্টেশনে পৌঁছবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই বাস ও ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করা হবে দেশে। এরপর শনিবারই জানা যায়, ১৫ মে-র মধ্যে দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করারও চিন্তাভাবনা চলছে। এবার শুরু হতে চলেছে ট্রেন পরিষেবা। একনজরে দেখে জেনে নিন রেলের পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা –

১) সোমবার ১১ মে বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ট্রেনের রিজার্ভেশন। শুধুই অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে। যাত্রীদের আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট www.irctc.co.in থেকেই টিকিট কাটতে হবে।
২) আপাতত রেল কোনও স্টেশনেই টিকিট কাউন্টার খুলছে না। সকল যাত্রীকেই অনলাইনে টিকিট কাটতে হবে।
৩) প্লাটফর্ম টিকিট বিক্রিও এখনই শুরু হচ্ছে না। ফলে শুধুমাত্র বৈধ টিকিটের যাত্রীরাই এখন স্টেশনে যেতে পারবেন। করফার্মড টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করাই যাবে না।
৪) ট্রেনে ওঠার আগেই টিকিট পরীক্ষা করা হবে। যথাযথ টিকিট ছাড়া কাউকেই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না।
৫) প্রত্যেক যাত্রীকেই বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বা ফেস কভার লাগাতে হবে। ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং হবে। শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও উপসর্গ থাকলে ট্রেনে ওঠা যাবে না।