বুধবার নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং আজ সকালে সোনাচূড়ায় দলীয় কর্মী-সমর্কদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ জানাল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপরে আঘাত করে তাঁদের ভয় দেখিয়ে নন্দীগ্রামে নির্বাচন করাতে চাইছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে এই মর্মে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। পরে দলের সদস্যা শশী পাঁজা বলেন, ‘বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গতকাল বুধবার সেখানকার বোয়াল গ্রামে ও আজ সোনাচূড়ায় যেভাবে তৃণমূল কর্মীদের ওপরে হামলা চালিয়েছে সেটা পূর্ব পরিকল্পিত।’ শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী’র প্ররোচনাতেই তারা অশান্তি করছে।’ তাঁরা এই দুটি ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। এইদিকে আজকের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। নন্দীগ্রামে নির্বাচনে প্রথমবার রক্ত ঝরল এই নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘আমি রক্ত ঝরানোর বিরুদ্ধে। এক ঝাঁক নেতা দিল দিল্লি থেকে এসে এখানে যেভাবে কথা বলছে এবং সেই কথা শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেক বিজেপি কর্মীরা ও নেতারা যেভাবে কথা বলছে সেরকম সংস্কৃতি বাংলায় কখনও ছিল না। আমি আমাদের সহ কর্মীদের বলব কোনওরকম প্ররো পা দেবেন না। শান্তি সম্প্রীতি ঐক্যের মধ্য দিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে যান।’একইসঙ্গে এই মর্মে আগামিকাল, শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখাও করবে তারা। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগেই নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় তুমুল অশান্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজনের আঘাত লেগেছে। কয়েকজনের মাথাও ফেটেছে। এদিন বিজেপির সভা শুরুর আগে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকায়।