চরম বিড়ম্বনায় পড়ল বিপ্লব দেব সরকার। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার খোয়াই থানার করা মামলার স্থগিতাদেশ দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। স্বাভাবিক কারণেই হাইকোর্টের এই নির্দেশে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। আপাতত পুজো পর্যন্ত অভিষেক, কুণাল ঘোষদের আর কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না পুলিশ। ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অখিল আব্দুল হামিদ খুরেশি আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন। ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পাঁচ তৃণমূল নেতা। তাঁদের বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় দায়ের হওয়া মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অখিল আব্দুল হামিদ খুরেশি এই রায় দেন। ফলে ওই মামলায় পুলিশ আর তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না। পাঠানো যাবে না নোটিশও। পুজো পর্যন্ত করা যাবে না কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদও। আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু এবং সুবল ভৌমিকরা। তৃণমূল বলছে, কেন কুণাল ঘোষ অত শরীর খারাপ নিয়েও খোয়াই থানার নোটিশে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন, আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টে তা হাড়ে হাড়ে বুঝল পুলিশ। তৃণমূলের পিটিশনের শুনানিতে প্রথম দিন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছিলেন, পুলিশের তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ও বিশ্বজিত্ দেব বলেন, ওরা মিথ্যে বলেছিল। তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার দাবি করেও তারপর কুণাল ঘোষকে নোটিশ পাঠিয়েছে। উনি ২১/৯ কমপ্লাই করেছেন। প্রধান বিচারপতি সেই নোটিশ ও নথি দেখতে চান। আইনজীবীরা তা পেশও করেন। আর তাতেই প্রমাণ হয়ে যায় পুলিশ দ্বিচারিতা করছে। কুণালের নথি দেখার পর ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অখিল আব্দুল হামিদ খুরেশি বলে দেন আর কাউকে নোটিশ পাঠানো যাবে না। পরবর্তী শুনানির জন্য রাজ্য সময় চায়। কারণ এদিনের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন না। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলায় পুজোর পর ফের শুনানি হবে। আপাতত পুজো পর্যন্ত অভিষেক, কুণাল ঘোষদের আর কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না পুলিশ। জানা গিয়েছে, আগরতলার হাসপাতালে এখনও থাকলেও কুণাল ঘোষের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এদিনই বিকেলে তাঁকে কলকাতা নিয়ে আসা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।