দেশ

খোয়াই থানায় বচাসা ও ধরনার জের, অভিষেক সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর ত্রিপুরা পুলিশের

খোয়াই থানায় বচাসা ও ধনার জের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৫ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল ত্রিপুরা পুলিশ। স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে হুঙ্কার কুণাল ঘোষের। ভয় পেয়েছে বিজেপি সেকারণেই মামলা বললেন দোলা সেন। ১৮৬/৩৪ ধারায় স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘ সময় থানায় ধর্না দিয়ে সরকারি কাজে ব্যঘাত ঘটিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মন মামলা দায়ের করেছেন। এফআইআর দায়েরের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন শান্তিপূর্ণ ধর্না করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেটাকে নিয়ে জোর করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে ত্রিপুরা সরকার। যদি সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়ে থাকে সেই ধর্নায় তাহলে সেদিন কোর্টে কেন জানালেন না খোয়াই থানার পুলিশ। ওদের এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনার পরে ত্রিপুরায় আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এদিকে দোলা সেনের দাবি, ভয় পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় পেয়েছে বলেই মামলার পথে হাঁটতে শুরু করেছে।এই ধরনের মামলা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে রোখা যাবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হলে যা হয় ত্রিপুরায় বিজেপির এখন তাই দশা বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎপর হতেই ঘুম উড়েছে বিপ্লব দেব সরকারের। প্রথমে আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের গ্রেফতারি। অভিষেক আসার আগেই পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে দেবাংশু এবং জয়া দত্তের উপর হামলা চালানো হয়। আগরতলায় অভিষেকের কনভয়ে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপরে ফের তৃণমূল নেতাদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে গ্রেফতারি এবং বুধবার আরও তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ত্রিপুরায়। তাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানায় গিয়ে ধরনা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে ওসির সঙ্গে দীর্ঘ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরে সেই ধরনায় যোগ দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেন, ব্রাত্য বসুরাও। দেবাংশু, জয়া দত্ত, প্রদীপ রাহাকে গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁদের জামিন করিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জয়া দত্ত, দেবাংশুরা। তাঁদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা জয়ের পর ত্রিপুরাকে টার্গেট করে এগোচ্ছে তৃণমূল।