দিল্লির দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও এক পুলিশকর্মী পলাতক। তাঁকে গ্রেফতার করতে দিল্লি পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ধৃত দুই পুলিশকর্মী হলেন সন্দীপ এবং রবিন। এই দুই পুলিশকর্মী সীমাপুরি পুলিশ স্টেশনের। তোলাবাজি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ওয়াহিদ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গৌরব ওরফে আন্না নামের এক ঠগবাজ যুবকও জড়িত। জড়িত সীমাপুরী পুলিশ স্টেশনের অমিত নামে আরও একজন পুলিশকর্মী। অমিত এবং গৌরবও পলাতক। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এরা সকলে দিল্লির এক ট্যাক্স এজেন্টকে অপহরণ করে। ট্যাক্স এজেন্ট শাহদারার বাসিন্দা। ট্যাক্স এজেন্টের কাছে পুলিশকর্মীদের মধ্যে একজন নিজেকে অপরাধ দমন শাখার অফিসার বলে পরিচয় দেয়। গাড়িতে তুলে পিছনের আসনে বসায়। ট্যাক্স এজেন্টের পকেটে ছিল ৩৫ হাজার টাকা। সেই টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়ে ওই ট্যাক্স এজেন্টকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে বলে। সেই সঙ্গে এও জানায়, দাবি মতো টাকা দিতে না পারলে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে। ভয় পেয়ে ওই ট্যাক্স এজেন্ট টাকা দিতে রাজি হয়। সেই সঙ্গে বলে, সে অসুস্থ বোধ করছে। হাসপাতালে যাওয়া দরকার। পুলিশকর্মীরা ওই ট্যাক্স এজেন্টকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায়। শেষে তারা তাদের টাকা মিটিয়ে দিতে হুমকি দেয়। চাপে পড়ে ওই ট্যাক্স এজেন্ট বাড়ি ফিরে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা এক বন্ধুর থেকে ধার নিয়ে অনলাইনে ট্রান্সফার করে। টাকা পেয়ে পুলিশকর্মীরা ওই ট্যাক্স এজেন্টকে ছেড়ে দিলে সে নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ রুজু করলে পুলিশ মাঠে নামে। গ্রেফতার করে ওই পুলিশকর্মীদের। পলাতকদের ধরতে শুরু হয়েছে তল্লাশি।