কুখ্যাত নিঠারি হত্যাকাণ্ডের দুই মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র কোলি ও মনিন্দর পান্ধেরের ফাঁসির সাজা রদ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আজ অভিযুক্ত সুরেন্দ্র কোলিকে ১২টি মামলায় ও মনিন্দর পান্ধেরকে ২টি মামলায় বেকসুর খালাস করে আদালত। আর নির্দিষ্ট এই মামলাগুলিতেই এর আগে দুজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল। ২০০৬ সাল। দিল্লির নয়ডার অন্তর্গত নিঠারি এলাকায় নিখোঁজ হয়ে যেতে থাকে একের পর এক শিশু, কিশোর-কিশোরীরা। পুলিস খোঁজাখুঁজি করলেও তাদের সন্ধান পায় না। কোথায় যাচ্ছে নিষ্পাপ শিশুগুলি? তাই নিয়েই রহস্য ঘুরপাক খেতে থাকে নিঠারির অলিগলিতে। কিন্তু হঠাৎই এলাকার একটি বাড়ির পিছনের নালা থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি নরকঙ্কাল। তদন্ত করে দেখা যায় সেগুলি নিখোঁজ শিশুদেরই। বাড়ির মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও চাকর সুরেন্দ্র কোলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুলে যায় সব রহসে্যর জট। যেই রহস্যের পৈশাচি নৃশংসতা সেই সময় কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। পুলিসি তদন্তে উঠে আসে, বাড়ির চাকর-মালিক দুজনে মিলে ছোট ছোট শিশু, কিশোর-কিশোরীদের বাড়িতে এনে হত্যা করত। হত্যার পর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনতার মতো অভিযোগও ওঠে। তবে সবথেকে ঘৃণ্য তথ্য যা উঠে আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে তা আরও ভয়াবহ। হত্যার পর মৃতদের দেহ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে তার মাংসও খেত অভিযুক্ত সুরেন্দ্র ও মনিন্দর। যদিও আদালতে মনিন্দর দাবি করে বাড়িতে সুরেন্দ্র কী করেছে তা সে জানত না। এসব কোনও কিছুর সঙ্গেই সে যুক্ত নয়। তবে রায়ে আদালত দুজনকেই ফাঁসির সাজা শোনায়। আজ ১৬ বছর বাদে সেই সাজা রদ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।