দেশ

উত্তরপ্রদেশে স্ত্রী মাংস রান্না করতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী স্বামী

স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বচসা। পরিণতি স্বামীর আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ ঝাঁসির প্রেম নগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার বানানো নিয়ে অশান্তি শুরু হয় দম্পতির মধ্যে। রাতের খাবারে মাংস বানাতে বলেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী তাঁকে জানায়, সে মাংস বানাতে পারবে না। কারণ তাঁর রাতের রান্না ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার কলহ ক্রমের বেড়ে চলে। হাতাহাতিও হয় তাঁদের মধ্যে। সেই রাতেই বন্ধ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন পবন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৬ বছরের পবন আসবাদপত্রের দোকানে কাজ করতেন। চার বছর আগে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিবাহ হয় তাঁর। দম্পতির একটি ২ বছরের মেয়ে রয়েছে। পুলিশ এও জানায়, পবনের মদ্যপানের নেশার কারণে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত তাঁর। ঘটনার দিনও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন পবন। বাড়ি এসে স্ত্রীকে তিনি মাংস রাঁধতে বলেন। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা সেই কথা না শোনায় দম্পতির মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একে অপরের গায়ে হাতও তোলেন তাঁরা। এরপর প্রিয়াঙ্কা অন্য ঘরে শুতে চলে যান। মাঝ রাতে পবনের দাদা ভাইয়ের খবর নিতে তাঁর ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন ঘর ভিতর থেকে বন্ধ করা। বহু ডাকাডাকি করলেও পবন দরজা খোলে না। এরপর পবনের মেয়েকে ডেকে এনে তিনি বলেন, জানালা দিয়ে ঘরের ভিতরে দেখতে। আর তখনই মেয়ে জানায়, ঘরে বাবা ঝুলছে। তড়িঘড়ি ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় পবনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই জানান চিকিৎসক। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।