রাজ্যজুড়ে টিকাকরণ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠেছে ভ্যাকসিনের আকালের অভিযোগ। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ায় চিন্তায় অনেকেই। তার উপর আবার সামনে এসেছে টিকা দুর্নীতি কাণ্ড। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ নিয়ে আরও এক দফায় কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজের (Second Dose) ক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী যাতে সকলে ভ্যাকসিনের (Vaccine) দ্বিতীয় ডোজ পান, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিন সেন্টারে থাকতে হবে নোডাল অফিসারকে। তাঁর তত্ত্বাবধানে যাতে সুশৃঙ্খলভাবে ভ্যাকসিনেশন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে মাপতে হবে রক্তচাপ। টিকা প্রাপককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ৩০ মিনিট ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে বসিয়ে রাখতে হবে। একাধিক ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠার অভিযোগও উঠেছে। করোনা কালে সংক্রমণ এড়াতে সে দিকেও নজর দিতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে। নির্দেশিকা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের। সূত্রের খবর, এই ২১ লক্ষ ডোজ টিকার মধ্যে সাড়ে ৯ লক্ষ ডোজ বুধবার বিকেলেই এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। চলতি মাসেই বাকি প্রায় ১১ লক্ষ ডোজ টিকা এসে রাজ্যে পৌঁছে যাবে বলেই আশা করছে স্বাস্থ্য দফতর।