জেলা

বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি মানে প্রতারণা, পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান আমরাই করব: মুখ্যমন্ত্রী

আজ জলপাইগুড়ি শহরে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূলের ‘ঐতিহাসিক’ সমাবেশে উত্তরবঙ্গকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেন৷ এদিনের সমাবেশের ভাষণের শুরুতেই তিনি আলিপুরদুয়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের ঘোষণা করলেন৷ আলিপুরদুয়ার প্রেস ক্লাব নির্মাণের জন্য জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন৷ অন্যদিকে, রাজবংশী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে জলপাইগুড়ির দলীয় সমাবেশে রাজ্য পুলিশে নারায়ণী ব্যাটলিয়ন গঠনের কথা ঘোষণা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘ওরা বলেছিল লোকসভা ভোটে জিতলে ডুয়ার্সের ৭টি চা বাগান খুলে দেবে৷ কিন্তু একটা বাগানও খুলতে পারেনি৷’ বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি মানে প্রতারণা। পাহাড় প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে গোর্খ্যাল্যান্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল৷ কিন্তু কটা গোর্খ্যাল্যান্ড করা করেছে? পাহাড়ের মানুষ ওদের ভাওতা ধরে ফেলেছে৷ পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান আমরাই করব। দার্জিলিং-তরাই-ডুয়ার্স নিজেদের মতো করে সবসময় ভালো থাকবে।’ তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ওরা বলেছিল, সবাইকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে৷ কতজন পেয়েছিল আপনারা?’ উত্তরবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘এখানে আমরা একটাও আসন পাইনি৷ এতো কাজ করেও একটা আসনও না! মানুষ ওদের ভোট দিয়েছে৷ তৃণমূল কী অপরাধ করে বলুন তো? কেন আমরা একটা আসনও জিততে পারলাম না? সব আসন বিজেপি নিয়ে গেল!’এদিন জলপাইগুড়ির সভা থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, ‘এনপিআর কি? খায় না মাথায় দেয়? বিজেপি মানেই প্রতখ্য। ওদের (বিজেপির) মতো ডাকাত মানুষ আগে কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করে রাজনীতির মাটি গরম করাই ওদের (বিজেপির) লক্ষ্য।’ বিজেপি বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশে ৪০ শতাংশ বেকার বাড়িয়ে দিয়েছে।বাংলায় বলছেন ফর্ম দেব, ভোটের পর হাওয়া হয়ে যাবে।