কলকাতা

পরকীয়ার জেরেই হামলা! বাইপাসের ধারে আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু

শুক্রবার সকালে মৃত্যু হল বাইপাসের ধারে বৃহস্পতিবার রাতে আক্রান্ত তরুণীর ৷ গতকাল রাত ১০টা নাগাদ ওই তরুণীকে অতর্কিতে ছুরির কোপ মারা হয় ৷ শিয়ালদায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বছর চব্বিশের ওই তরুণী ৷ শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ গতকাল রাতেই প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে ৷ এই ঘটনায় এক মহিলা শাহজাদি ফারুক এবং ওয়াসিম আকরাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নাবালককেও আটক করা হয়েছে ৷ এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইডি) আরিশ বিলাল ইটিভি ভারতকে বলেন, “ওই নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হচ্ছে ৷ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷” খুনের কারণ হিসেবে তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছেন, মৃতা ওই তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্ত নাবালকের বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। যদিও ওই নাবালকের বাবার খোঁজ এখনও মেলেনি। এই ঘটনার নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের ৷ এছাড়াও অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গতকাল রাত ১০টা নাগাদ প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে একটি খাবারের দোকানের সামনে ওই তরুণীকে পরপর ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে অভিযুক্তরা। তারা সকলেই একই ট্যাক্সিতে ছিল ৷ গাড়ি থেকে মেয়েটি নামতেই অতর্কিতে হামলা চালায় ধৃতরা ৷ ওই যুবতী পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর গলার নলি কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে ৷ কিন্তু তাদের আটকে মারধর করে লোকজন ৷ পরে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে রাতেই শিয়ালদায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই তরুণী। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। জরুরি ভিত্তিতে ওই তরুণীর অস্ত্রোপচার হলেও অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা ৷ ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমে বাইপাস সংলগ্ন একাধিক জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ করেছেন তদন্তকারীরা।