জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্য বেশ কঠিন ছিল ভারতের কাছে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বোলিং শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী। তাছাড়া ভারতের ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব। এই রকম বড় রান তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি ছিল। প্রথম ওভারে ১০ রান তুলে স্বপ্নও দেখিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। মেগান শুটের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন শেফালি ভার্মা। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ৬ বলে ৯ রান করে তিনি আউট হন। পরের ওভারে অ্যাশলে গার্ডনার তুলে নেন স্মৃতি মান্ধানাকে (২)। চতুর্থ ওভারে যস্তিকা ভাটিয়ার (৪) রান আউট চাপে ফেলে দেয় ভারতকে। এরপর রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর ও জেমাইমা রডরিগেজ। পালটা আক্রমণ শানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের চাপে ফেলে দেন এই দুই ভারতীয় ব্যাটার। জুটিতে তোলেন ৬৯ রান। জেমাইমা ও হরমনপ্রীতের জুটিই ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে জেমাইমা (২৪ বলে ৪৩) আউট হতেই কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় ভারত। ১১.১ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে যায়। এদিন, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেঘ ল্যানিং। ভাল শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি এবং বেথ মুনি। ওপেনিং জুটিতে দুজনে তুলে ফেলেন ৫২ রান। ভারতকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন রাধা যাদব। অষ্টম ওভারে তুলে নেন অ্যালিসা হিলিকে। ২৬ বলে তিনি ২৫ রান করে আউট হন। দশম ওভারে রাধা যাদবের চতুর্থ বলে লং অন বাউন্ডারির ধারে মুনির সহজ ক্যাচ ফেলেন শেফালি ভার্মা। শেফালি ভার্মার হাতে জীবন পেয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বেথ মুনি। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরপরই আউট হন বেথ মুনি। ৩৭ বলে ৫৪ রান করে শিখা পান্ডের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শেফালি ভার্মার হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টেনে নিয়ে যান মেগ ল্যানিং ও অ্যাশলে গার্ডনার। জুটিতে ওঠে ৫৩ রান। ১৮ বলে ৩১ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন গার্ডনার। গ্রেস হ্যারিস (৭) রান পাননি। তিনি শিখা পান্ডের বলে বোল্ড হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭২/৪ তোলে অস্ট্রেলিয়া। মেগ ল্যানিং ৩৪ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে শিখা পাণ্ডে ২টি এবং দীপ্তি শর্মা ও রাধা যাদব ১টি করে উইকেট নেন।