দেশ

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া ও কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত

আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের সঙ্গে আরও একবার আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ৷ সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লিতে অনুরাগ ঠাকুরের বাসভবনে পৌঁছালেন সাক্ষী মালিক বজরুং পুনিয়া এবং ভিনেশ ফোগতরা ৷ এদিন সবার আগে সাক্ষী এবং তাঁর স্বামী সত্যব্রত কাদিয়ান সেখানে পৌঁছান ৷ এরপর বজরং পুনিয়াকে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকতে দেখা যায় ৷ তবে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত কুস্তিগীরদের সঙ্গে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে যাননি ৷ শোনা গিয়েছিল রাকেশও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছেন। পরে সংবাদসংস্থা এএনআই সেই দাবি খারিজ করে।গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অনুরাগ ঠাকুর একটি টুইট করেন ৷ সেখানে ফের একবার তিনি কুস্তিগীরদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান ৷ তিনি বলেন সরকার কুস্তিগীরদের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা ও দাবি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী ৷ আমি আবারও কুস্তিগীরদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ৷ অনুরাগ ঠাকুরের সেই টুইটের পর আজ সকাল থেকেও এ নিয়ে জোর চর্চা চলছিল যে কবে দেখা করবেন কুস্তিগীররা ৷ তবে বেশিক্ষণ এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি ৷ সকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে নিজেদের দাবি নিয়ে দ্বিতীয়বার আলোচনার টেবিলে গেলেন বজরং পুনিয়ারা ৷ উল্লেখ্য এ বছরের শুরু দিকে প্রথম যখন কুস্তিগীররা আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই সময় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সাক্ষীভিনেশবজরংরা ৷ সেই সময় প্রাক্তন অ্যাথলিট এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় ৷ সেই কমিটির তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছিলেন কুস্তিগীররা ৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল কমিটি গঠন করার পর ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত সেভাবে এগোয়নি ৷ এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন কুস্তিগীরা ৷ যার প্রতিবাদে পুনরায় গত ২৪ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন সাক্ষী মালিকরা ৷ যে আন্দোলনকে গত ২৮ মে জোর করে যন্তর মন্তর থেকে তুলে দেয় পুলিশ ৷ যার পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের ভূমিকা এবং ব্রিজভূষণের বিরদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷”