দলের অন্দরেই চাপ তৈরি হয়েছিল। বিতর্কের মুখে অবশেষে পিছু হটল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে জারি হওয়া নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাস্তায় বা পার্কে প্যান্ডেল বানিয়ে দুর্গাপুজো করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। তবে পুরোটাই করতে হবে কোভিড নির্দেশিকা মেনে। যোগী প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়েছে, যে কমিটি দুর্গাপুজোর আয়োজন করবে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সকল দর্শনার্থী যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে প্যান্ডেলে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজারও যাতে ব্যবহার করেন। গত সোমবারের একটি নির্দেশিকা ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল যোগী সরকার। তাতে বলা হয়েছিল, রাস্তায় বা পার্কে প্যান্ডেল বেঁধে দুর্গাপুজো করা চলবে না। কোনও মেলা, অনুষ্ঠান বা বিসর্জনের শোভাযাত্রাও চলবে না। শুধুমাত্র বাড়ির দুর্গাপুজোয় দেওয়া হয়েছিল অনুমতি।অথচ রামলীলার অনুষ্ঠানে এত কড়াকড়ির বালাই ছিল না। সেখানে বলা হয়েছিল, কোভিড বিধি মানতে হবে এবং ১০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকা চলবে না। রামলীলার অনুষ্ঠান বন্ধের কথা বলা হয়নি। তাই বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে ঘরে ও বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী প্রশাসন। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল একযোগে সমালোচনা করেছিল।উত্তরপ্রদেশ সরকারের নতুন নির্দেশিকায় অত্যন্ত খুশি সেখানকার দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের জানকীপুরম এলাকার এক দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য আনন্দ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ‘পুজোর আর বেশি সময় বাকি নেই। তাই আমরা কাল সারা রাত ধরে পুজোর পরিকল্পনা করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের পুজো আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার জন্য।’ নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে ১৫ অক্টোবর থেকে। কারণ ১৭ অক্টোবর শুরু নবরাত্রি। বৃহস্পতিবারের নয়া নির্দেশিকায় দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে রামলীলা, সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের জন্য প্রচার, বিবাহ, অনুষ্ঠান-সবেরই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সবকিছুই অবশ্য করতে হবে কোভিড বিধি মেনে। উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি অবনীশকুমার অবস্থি জানান, দুর্গাপুজো ও বিসর্জনে কোনও বাধা থাকছে না। কিন্তু তা কীভাবে হবে, কত লোক একসঙ্গে জমায়েত করতে পারবে, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক।