কলকাতাঃ সাতদিন পর তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ বিকেল ৪টের সময় বৈঠক শুরু হতেই সবাই বসার জায়গা পেয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের ভয়ের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়েই আন্দোলনে যেতে হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। যাতে একটা বার্তা যায়। আর সম্ভব হলে পরিবহ মুখার্জিকে দেখতে যান। সব অভাব–অভিযোগ–দাবি মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বলেন, ‘তোমরা আমার ছোট ছোট ছেলে–মেয়ে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। কেন অভিযোগ দায়ের করতে যাবো? আর এই ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে কোলাপসিবল গেট করে দিতে চাই। যাতে দু’জনের বেশি প্রবেশ করতে না পারে।’ এছাড়া একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি মানবিক। একদিকে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন, অন্যদিকে সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে দেন। যা এককথায় অনবদ্য। নবান্নে লাইভ কভারেজে বসে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, একজন ব্যক্তিকে রাখা যিনি রোগীর পরিবার এবং চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখবেন, পুলিসের পক্ষ থেকে নোডাল অফিসার ঠিক করে হাসপাতালগুলিতে পরিদর্শন করতে হবে, জেলার ক্ষেত্রে তা করবে জেলা পুলিস, গ্রিভান্স সেল তৈরি করে তা হাসপাতালের সামনে রাখা, তিনটি ভাষায় (বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি) তা লিখিয়ে রাখতে হবে, সিনিয়র চিকিৎসকরা সরাসরি রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলুক, জেলায় জেলায় হোস্টেল তৈরি হবে, অ্যাপস তৈরি করে মতামত বিনিময় করা, সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে এবং হাসপাতালে অ্যালার্ম ব্যবস্থা রাখা হবে। নজর রাখা হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। ‘আপনাকে আমরা অন্ধের মতো বিশ্বাস করি’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে একটু পরেই ঘোষণা চিকিৎসকদের।