মালদা

প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠলো প্রথমে শিশুকন্যাটিকে বাড়িতে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মুচিয়া মহাদেবপুরে। ঘটনায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে আহত শিশুটিকে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় মালদা থানায় ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পিরিত শিশু কন্যার পরিবারের তরফ থেকে। যদিও ঘটনার পর আটচল্লিশ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্ত। এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাদেবপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমমজুর এক ব্যক্তির ছয়’বছরের কন্যাসন্তান ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী। শিশুর মা অভিযোগ করেছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ টিউশনি থেকে মেয়ে ফেরার পরই পাশের বাড়ির বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ় তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর ফাঁকা ঘরে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শিশুটির কাকিমা ওই সময় স্কুলে পাঠানোর জন্য শিশুটিকে ডাকতে গেলে কাঁদতে কাঁদতে অভিযুক্তের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে বিবস্ত্র শিশুটি। তার হাতে গোঁজা ছিল কুড়ি টাকা। প্রশ্ন করতেই বেড়িয়ে আসে সম্পর্কে শিশুটির দূরসম্পর্কের পিসেমশাইয়ের কুকীর্তির কথা। বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি শিশুটির মাকে জানালে হৈচৈ পড়ে যায় গ্রামে। অভিযোগ ওই সুযোগে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। অত্যাচারের জেরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে তাকে মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পড়ে মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গাজোলে কর্মরত ওই শিশুর বাবা তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছান এবং থানায় অভিযোগ করার তোড়জোড় শুরু করেন। অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত প্রৌঢ়, তার দাদা এবং পরিবারের লোকেরা শিশুটির পরিবারকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কথা না শোনায় তাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি তারা দিতে থাকে বলেও অভিযোগ। সন্ধ্যে নাগাদ মালদা থানায় ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও ঘটনার পর আটচল্লিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্ত। নির্যাতিতা শিশুর মা বাবা জানান,” ওইটুকু শিশুর সঙ্গে যে কেউ এমন পাশবিক ব্যবহার করতে পারে তা ভাবা যায় না। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে পিসেমশাই হয়। টিভি দেখতে অনেক সময় ওর বাড়িতে আমার মেয়ে যেত। কিন্তু ওকে প্রলোভন দেখিয়ে যেভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে তাতে ওই ব্যক্তির ফাঁসি চাইছি আমরা। এই বিষয়ে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভলক্ষ্মী গায়েন চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,” আমি বিষয়টি জানি। পুলিশকে আমি জানিয়েছি। ” তদন্তে পুলিশি কেন ঢিলেমি করছে সে প্রশ্ন তুলেছেন পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতিও। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ওই গ্রামে যান তিনি। তিনি বলেন,” আমি পরিবারটির সঙ্গে কথা বলেছি। শুনলাম শিশুটিকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি মালদা থানার পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করেছি যাতে দ্রুত অভিযুক্ত ধরা পড়ে। যদি আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ধরা না পড়ে তবে আমরা মালদা থানা ঘেরাও করব।