জেলা

অবৈধ বালিখাদানে অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, মাফিয়াদের হাতে আটক সরকারি আধিকারিকরা

বাঁকুড়া: অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে বেআইনি বালিবোঝাই দুটো ট্রাক আটক করেছিলেন। তার জন্য চূড়ান্ত হেনস্থা হতে হল মেজিয়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক, বিডিও ও তাঁর সঙ্গীদের। অভিযোগ, এই সরকারি আধিকারিকদের রীতিমত হুমকি দিয়েছে ওই বালি মাফিয়ারা। ঘটনায় দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মেজিয়া থানার পুলিশ। মেজিয়ার ওই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকের নাম অমিত দাস।গত বৃহস্পতিবার মেজিয়া থানা এলাকার ভাড়রা গ্রামে অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিক অমিত দাস। তাতে তাঁকে মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে ওইদিন রাতেই মেজিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এনিয়ে পুলিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা (ডিএলআরও) সব্যসাচী সরকার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গিয়ে বেআইনি আধিকারিক অমিত দাস এবং তাঁর সহকারীরা বালিবোঝাই ট্রাক্টর আটক করতেই ক্ষেপে ওঠেন ওই বেআইনি বালি কারবারে সাথে যুক্ত পাণ্ডারা। গ্রামের একদল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয় তাঁদের। মেজিয়ার বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দোপাধ্যায়ও এই অভিযানে শামিল ছিলেন। তিনিও আটকে যান। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না বলেও অভিযোগ।মেজিয়া থানার পুলিশ জানাচ্ছে, এদিন থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে সঙ্গে নিয়েই আধিকারিকরা ভাড়রা গ্রামে অভিযান চালাতে গিয়েছিলেন। প্রথমে থানার গাড়িচালককে ঘেরাও করে বালি মাফিয়ারা হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে ভাড়রা গ্রামের দামোদরের বুকে পুলিশ কর্মীদের পাঠানো হয়। তারপরেও ওই আধিকারিকদের ঘেরাও করে কুৎসিত গালাগালি এবং হুমকি দিতে থাকে বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে বিডিও, বিএলআরও-সহ সকলকে উদ্ধার করা হয়। বচসা চলাকালীন সুযোগ বুঝে আটক করা বালি বোঝাই ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে যায়।