তর্পণ সারতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল দু’জনের। মৃতদের মধ্যে একজন হাওড়ার বালি এবং অপরজন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বাসিন্দা। জলে তলিয়ে গিয়েছেন আরও পাঁচজন। শনিবার রাত পর্যন্ত খানাতল্লাশি করেও নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পারেননি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। নিখোঁজদের মধ্যে চারজন উত্তরপাড়ার হিন্দমোটরের বাসিন্দা। অপরজন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। তর্পণ পর্বে এদিন শহরের গোয়ালিয়র ঘাটে দু’জন এবং পানিঘাটে একজন জলের তোড়ে ভেসে যান। তবে ডিএমজি কর্মীরা তিনজনকেই উদ্ধার করতে পেরেছেন। গঙ্গা সহ রাজ্যের বিভিন্ন নদীর ঘাটে তর্পণ পর্বের অঘটন এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিসি এবং ডিএমজি নজরদারি ছিল। তা সত্ত্বেও অঘটন এড়ানো যায়নি। এদিন ভোর চারটে নাগাদ গঙ্গায় তর্পণ করতে গিয়েছিলেন সত্যবালা ঘোষ (৫৩)। তিনি বালির চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা। জোয়ারের টানে তলিয়ে যান তিনি। ঘাটে মোতায়েন পুলিসকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে অচৈতন্য অবস্থায় নিয়ে যান স্থানীয় একটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাঁকসায় অজয় নদের শিবপুর ঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যান শ্রীধর চট্টোপাধ্যায় (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। পরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। দিনের সবচেয়ে বড় বিপত্তির ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ায়। সকাল ১০টা নাগাদ গঙ্গায় বান আসে। সেই সময় প্রচুর মানুষ তর্পণ করছিলেন উত্তরপাড়ার বিবি স্ট্রিট ঘাটে। স্রোত পাড়ে ধাক্কা মারার আগে প্রায় সকলেই উঠে আসতে সক্ষম হলেও, সাত জন ভেসে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরাই জলে ঝাঁপিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেন। কিন্তু চারজন রাত পর্যন্ত নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে নামানো হয়েছে ডিএমজি কর্মীদের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজদের নাম স্বপন ভট্টাচার্য (৫৯), সৌম্য মজুমদার (৪০), সৌভিক দত্ত (৩৪) ও গৌরাঙ্গ মণ্ডল (৫৫)। সন্ধ্যায় তল্লাশি অভিযান তদারকি করতে এসেছিলেন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক সম্রাট চক্রবর্তী। পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে এদিন তর্পণ করতে গিয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শেখর মণ্ডল (৬১)। সেখানে তলিয়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি শুরু করে খড়দহ থানার পুলিস। নামানো হয় ডুবুরি। ওই ব্যক্তি কাশীপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।