ক্রাইম

১১ আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ২১ পুলিশ কর্মী বেকসুর খালাস করে দিল আদালত

কোন্দ উপজাতির ১১ মহিলাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ২১ পুলিশ কর্মীকে বেকসুর খালাস দিল আদালত। দুই তদন্ত আধিকারিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত না করাতেই অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আল্লুরি সীতারাম রাজু জেলার বিশেষ আদালতের বিচারক। গণধর্ষণের মতো অপরাধে ২১ পুলিশ কর্মীর ছাড়া পাওয়ার খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতিও গুজরাতের এক আদালত গোধরা দাঙ্গার সময়ে গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত ২৬ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল।  জানা গিয়েছে, অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস আর রেড্ডি নকশাল দমনে গ্রে হাউন্ডস নামে পুলিশঅএর এক বিশেষ বাহিনী গঠন করেছিলেন। ২০০৭ সালের ২০ অগস্ট ভাকাপাল্লি গ্রামে নকশাল দমনে গিয়ে গ্রামে বসবাসকারী কোন্দ উপজাতির ১১ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছেন বলে গ্রে হাউন্ডস বাহিনীর ২১ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অনেক টালবাহানা পেরিয়ে ২০১৮ সাসলে বিশেষ আদালতে ওই চাঞ্চল্যকর মামলার শুনানি হয়। গত বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের বিচারক তথ্য-প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য লিগাল এইড সার্ভিসেসকে গণধর্ষিতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফোরামের সহ সভাপতি এম শরতের অভিযোগ, ‘অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের প্রথম থেকেই বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। অনেককে গ্রেফতারই করা হয়নি, উল্টে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।’ নির্যাতিতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়ে আদালত গণধর্ষণ মেনে নিয়েছে বলে তাঁর দাবি।

প্রতীকী ছবি।