জেলা

‘আমফান’ মোকাবিলায় বাংলায় এনডিআরএফ-র ৪টি দল

ঘৃর্ণিঝড় আমফানের মোকাবিলায় রাজ্যে আসছে ৪টি এনডিআরএফ-র দল। শনিবার সন্ধ্যাতেই দলগুলি রাজ্যে চলে আসছেন। এনডিআরএফ-র তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। দুটি রাজ্যেই ৪টি করে দল পাঠানো হয়েছে। ২০টি দলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছে। আজ আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেলের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তরমুখী হলেও, পরে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগোবে। এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে মঙ্গল-বুধবার এ রাজ্যের উপকূলে ‘আমফান’-এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি পৌঁছে যেতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার। স্থলভাগের দিকে যত এগবে, তার গতি কিছুটা কমে।শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দিঘা থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। উপকূলে টহল দিচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী ।