৫০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও কুয়োয় আটকে রয়েছে পাঁচ বছরের শিশুটি। ছোট্ট আরিয়ানকে উদ্ধার করতে প্রাণান্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। অন্যদিকে, যত ঘড়ির কাঁটা এগোচ্ছে ততই আশাক্ষীণ হচ্ছে আরিয়ানের পরিবারের। রাজস্থানের দৌসা জেলার কালিখাদের গ্রামবাসীরা এখন সময় কাটাচ্ছেন টানটান উত্তেজনায়, আশা-নিরাশার দ্বন্দে। প্রসঙ্গতঃ, গত সোমবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে মাঠে গিয়েছিল পাঁচ বছরের ছোট্ট আরিয়ান। তার মা যখন অন্য কাজে ব্যস্ত, তখনই খেলতে খেলতে ১৫০ ফুট গভীর একটি কুয়োয় পড়ে যায় সে। বিষয়টি মায়ের নজরে আসতেই চিৎকার করে লোক ডাকেন তিনি। এরপর বিকেল ৪টে থেকেই শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ।
হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত কেটে গিয়েছে ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময়। তবে আরিয়ানকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারী দল এই মুহূর্তে প্ল্যান বি পরিকল্পনার ভরসায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কুয়োর পাশে খোঁড়া হচ্ছে আরও একটি সুড়ঙ্গ। সেখান থেকে টানেল করে পৌঁছানো হবে আরিয়ানের কাছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১১০ ফুট সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৪০ ফুট। কিন্তু এক্ষেত্রে কঠিন চাল্যেঞ্জ রয়েছে উদ্ধারকারী দলের সামনে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই এলাকায় জলস্তর ১৬০ ফুটে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৫০ ফুটের বেশি গর্ত খোঁড়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফলে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। নইলে জল উপরে উঠে এসে আরও বিপত্তি বাঁধতে পারে। অন্যদিকে শঙ্কায় কাঁপছে আরিয়ানের পরিবার। পাঁচ বছরের খুদের হাতে সময় কিন্তু ক্রমশই কমছে। সিসিটিভির মাধ্যমে তার উপরে নজর রাখার চেষ্টা হলেও তা পুরোপুরি সফল হয়নি। কারণ, নীচে জলীয় বাষ্পের কারণে দৃশ্যমানতা খুবই কম। ফলে আরিয়ান এখন কেমন আছে তা নিয়ে আশঙ্কা থাকছে। সময় যত এগোচ্ছে, পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে।