জেলা

মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী, উদ্বোধন করলেন হ্যালিপ্যাড সহ একাধিক প্রকল্পের, পুজো দিলেন কপিলমুনির আশ্রমে

গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে ২ দিনের সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে গিয়ে এদিন তিনি দিলীপ মহারাজ সহ অন্যান্য সন্ন্যাসীদের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপরে সঙ্ঘে আরতি ও প্রার্থনা করার পরে তিনি কপিলমুনির আশ্রম পরিদর্শন করে সেখানে পুজো দেন। এদিন গঙ্গাসাগর হ্যালিপ্যাডে নেমেই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তাঁর দাবি ছিল, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করার। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে গিয়ে তিনি কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেছেন, মুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে সেতু তৈরি করার প্রয়োজন। বলেন, এই সেতু তৈরি করতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কেন্দ্র এই নিয়ে অবহেলা করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভিক্ষে চাই না। টাকার জোগাড় হলে রাজ্যই এই সেতু তৈরির উদ্যোগ নেবে’। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকে শীতবস্ত্রও এদিন বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে ফের সরব হন গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার দাবি নিয়ে। এদিন তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের কাছে তাঁর এটাই আবেদন’। কুম্ভমেলা কেন্দ্রের সমস্ত সাহায্য পায় কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা কোনও সাহায্য পায় না দাবি করে তিনি বলেন, রাজ্যই সমস্ত খরচ বহন করেন গঙ্গাসাগর মেলার। উল্লেখ্য, একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এই কথা আজ আগেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কপিলমুনির আশ্রমে তিনি বলেন, এই দাবিকে মান্যতা না দেওয়া হলে তা  ভুল হবে। পাশাপাশি, মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু তৈরির জন্য কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্যে আবেদনও জানান তিনি। এর আগে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ থেকেও একই দাবি তুলেছিলেন তিনি। কপিলমুনির আশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন, হ্যালিপ্যাড উদ্বোধন সহ একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর সহ ৫টি বিশেষ বিশেষ দর্শনীয় স্থানের মন্দিরের আদলে অডিও- ভিজ্যুয়াল সুবিধা যুক্ত ‘রেপ্লিকা’ তৈরি করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, সাবধানে লঞ্চ-ভেসেলে চেপে পারাপার করুন এবং স্নানযাত্রা সাবধানে করুন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “আমরা আসার পর গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থ কর মকুব করে দিয়েছি। মুড়িগঙ্গায় খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে যাতে আরও বেশি লঞ্চ চলতে পারে। মেলা যখন চলবে তখন যে কোনও মানুষ যদি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাহলে তার পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমার সুবিধা দেওয়া হবে।”