উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনই প্রশ্নপত্র বিভ্রাট ৷ মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্রে একটি ভুল তথ্য অনুসন্ধান করে ছাত্রছাত্রীরা। রচনা বিভাগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্পর্কিত একটি ভুল তথ্য নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্রে রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নাকি আইএএস (IAS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। আদতে নেতাজি আইসিএস ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্নপত্র ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞদের তরফে এ সংক্রান্ত একাধিক পোস্টের দেখা মিলছে সোশাল মিডিয়ায়। সকলের একটাই কথা সংসদের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা যা সিংহভাগ ছেলেমেয়েরই বাংলা ৷ বাংলা রচনা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া থাকে সেগুলিকে ব্যবহার করে প্রবন্ধ লিখতে হয় পরীক্ষার্থীদের ৷ সেখানেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে দেওয়া একটি তথ্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেতাজির উচ্চশিক্ষার পয়েন্ট হিসেবে প্রশ্নপত্রে বলা হয় তিনি আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৷ যা সম্পূর্ণ ভুল। আইএএসএর পুরো অর্থ হল ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস। কিন্তু সুভাষ বসু ১৯১৯ সেপ্টেম্বরে ভারত ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে ৷ সেখানে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন ৷ ১৯২০ সালে ইংল্যান্ডে সার্ভিস পরীক্ষায়(ICS) চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর চাকরি শুরু করলেও ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করতে নাচাওয়ায় একবছর পরই ইস্তফা দেন। সে যাইহোক সমস্যা হল এই ভুল তথ্য প্রশ্নপত্রে থাকায় বহু পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে আইএএসই লিখে এসেছে আইসিএসএর বদলে। স্বভাবতই প্রশ্ন দানা বেঁধেছে যে যারা আইএএস লিখে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে খাতা দেখার সময় ৷ সে বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্নের উত্তরে আইএএস অথবা আইসিএস যাই লিখুক না কেন নম্বর পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন সংসদ সভাপতি ৷ সংসদ সভাপতি বলেন এটা ছাপার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। তবে আগে আইএএসটাই ছিল পরে আইসিএস আসে। তাও আমি বলব প্রশ্নপত্রে এটা ভুল হয়েছে। তাই যদি কোনও পরীক্ষার্থী খাতায় আইএএস লিখে আসে তাহলে সেটা কেটে দেওয়া হবে না। ফলে সে যা নম্বর পাওয়ার সেটাই পাবে। এর জন্য কোনও বাড়তি সমস্যা ভোগ করতে হবে না পরীক্ষার্থীদের। “