মে মাসেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, এমনটা ধরেই সেই নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। আর সেই কারণেই চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলা হচ্ছে কাদের কাদের এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিউটি পড়তে চলেছে। মানে কারা কারা ভোটকর্মী হচ্ছেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পঞ্চায়ত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা না হলেও মে মাসেই সেই নির্বাচন হতে পারে এমনটা ধরে নিয়েই জেলাশাসকদের ভোটকর্মীর তালিকা ২৭ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৬৩ হাজার ৩৩৯টি বুথ তৈরি হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭৪ হাজার। ভোট হবে ব্যালটে। প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ব্যালট বক্স। সেই জন্য ভিন রাজ্যের অপেক্ষায় না-থেকে কমিশন দেড় লক্ষ ব্যালট বক্স কিনেছে। ব্যালট বক্স লুট করে ভোটে কারচুপি রুখতে প্রতিটি ব্যালট বক্সে থাকছে কিউআর কোড। যা দিয়ে কমিশন নিজস্ব অ্যাপের সাহায্যে ব্যালট বক্সের গতিবিধির ওপর নজরদারি করতে পারবে। কমিশনের হিসেবে, ভোটগ্রহণ ও গণনার জন্য মোট প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ভোটকর্মী দরকার। কিন্তু এত সরকারি কর্মী পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেননা একশ্রেনীর কর্মী এখন আন্দোলন করছেন এবং তাঁদের দাবি, মহার্ঘ্য ভাতা না দেওয়া হলে তাঁরা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে ঠিক কতজনকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে তা নিয়ে খটকা থাকছে। এর পাশাপাশি বহু পদ শূন্য। তাই কমিশন এবারের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য শুধু সরকারি কর্মীর ওপর ভরসা রাখছে না। বরঞ্চ তাঁদের ভরসা থাকছে রাজ্যের পুরকর্মী, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের ওপর।