পারসপুরে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আবাসিক স্কুল ‘কস্তুরবা গান্ধী আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়’, সেখানে ১০০ জন ছাত্রী থাকে বলে সরকারি রেকর্ডে রয়েছে। সেই হস্টেলে হঠাৎই সোমবার রাতে গোন্ডার জেলাশাসক নেহা শর্মা ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এ যান। গিয়ে তিনি আঁতকে ওঠেন। দেখেন, মাত্র ১১ জন ছাত্রী রয়েছে, বাকি ৮৯ জনের কোনও চিহ্ন নেই! কোথায় তারা, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি হস্টেলের ওয়ার্ডেন সরিতা সিং। তার পরেই চার জনের নামে এফআইআর করার নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওয়ার্ডেন, হস্টেলে থাকা একজন পূর্ণ সময়ের শিক্ষক, গার্ড ও হস্টেলের গেটে থাকা প্রান্তীয় রক্ষা দলের এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। ডিএম মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি হঠাৎই ওই আবাসিক স্কুলে যাই। গিয়ে দেখি ১০০ জন ছাত্রীর মধ্যে ৮৯ জনের কোনও খোঁজ নেই। এটা মারাত্মক অবহেলা। এ ভাবে কোনও আবাসিক স্কুল চালানো যায় না। সে জন্যই এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছি।’ জেলার ‘বেসিক শিক্ষা আধিকারিক’ প্রেম চাঁদ যাদব বলেন, ‘এফআইআর-এর পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলার যুবকল্যাণ অফিসারকে বলা হয়েছে। জওয়ানের ক্ষেত্রেও তদন্ত হবে।’