মানব পাচার রুখতে দেশজুড়ে ১০ জায়গায় হানা দিল এনআইএ। বাংলাদেশ থেকে মানুষ পাচারের বড়সড় চক্রের খোঁজে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ৩ জায়গায় তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তল্লাশি চলল গাইঘাটাতেও। বাংলা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বুধবার সকাল থেকে বারাসতের ৩ জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। বারাসত নোয়াপাড়া, বারাসত নবপল্লী এবং টাকি রোড সংলগ্ন চাঁপাডালিতে তল্লাশি চলে। জানা যাচ্ছে গুয়াহাটিতে একটি নারী পাচার চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। সেই চক্রে ধৃতদের জেরা করেই কিছু সূত্র হাতে আসে তদন্তকারীদের। সেই সূত্রেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলে। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ কিছু জঙ্গি সংগঠনের লোকজনকে এভাবেই সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। শ্যামলী ট্রাভেলস নামে একটি সংস্থার অফিসেও হানা দিয়েছে এনআইএ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাতসকালে গাইঘাটার হাজরাতলায় হানা দিয়ে একজনকে আটক করে এনআইএ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে বিকাশ সরকারের ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। বিকাশ তার স্ত্রী ঝর্না সরকার ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে হাজরাতলায় অনামিকা বিশ্বাসের বাড়িতে প্রায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকত। বেশ কয়ক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশকে আটক করে নিয়ে যায় এনআইএ। তবে কী কারনে এই এনআইএ হানা তা এখনও জানা যায়নি। বিকাশের স্ত্রী জানান, তারা মূলত বাংলাদেশের বাসিন্দা। তার স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে এখানে এসেছেন। তিনি চার মাস আগে পাসপোর্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরতে পারেন নি। এনআইএ সূত্রে খবর, গুয়াহাটির ওই পাচার চক্রের সূত্রে ধরেই এনআইএ দেশের ১০ জায়গায় অভিযান শুরু করেছে এনআইএ। সেই মামলার সূত্রে ধরেই ত্রিপুরা, অসম, বাংলার হাওড়া, বারাসত, ক্রণাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, পণ্ডিচারি, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। জানা যাচ্ছে মানব পাচারের নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা ভারতে তাদের লোকজন ঢুকিয়ে দিচ্ছে।