শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে যখন রাজভবনে চিঠি দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ, তখন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ফের বার্তা দিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। মনে করিয়ে দিলেন, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না পুলিস। সাংবিধানিক পদাধিকারী রাজ্যপালের রক্ষকবচ রয়েছে’। এমনকী, পুলিসকে কোনও তথ্য না দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজভবনের কর্মীদের। রাজ্যপাল নিজের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা বিবৃতিতে সংবিধানের ৩৬১ (২). (৩) ধারার উল্লেখ রয়েছে। ওই ধারা অনুযায়ী, স্বপদে থাকাকালীন কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত করা যেতে পারে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করাও সম্ভবপর নয়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে SET গঠন করেছে। রাজভবনের ওসির কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজও চাওয়া হয়েছে। কোনও সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত করার আদৌ এক্তিয়ার আছে কিনা, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে FIR করে তদন্ত শুরুর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজভবনের সঙ্গে যুক্ত কেউ কোথাও কোনও মন্তব্য করতে পারে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজভবনের স্থায়ী, অস্থায়ী, আংশিক সময়ের কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য বলেও উল্লেখ রয়েছে বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী দাবি করেন, রাজ্যপাল বোস তাঁর দুবার শ্লীলতাহানি করেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দেন সি ভি আনন্দ বোস।