কলকাতা

‘বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জবাব বাংলার মানুষই বিজেপিকে দেবেন’, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা নির্বাচনে এ বারও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি। কালীঘাটে নিজের বাড়ির সামনে থেকে মিছিল করে আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন দাখিল করলেন তৃণমূলের সেনাপতি। মনোনয়ন পেশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। সেখানেই তিনি বললেন, “বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন সময়ের অপেক্ষা।” এও বললেন ‘বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জবাব বিজেপিকে দেবেন বাংলার মানুষই।’’ সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমার মনোনয়ন জমাকে ঘিরে যে ভাবে মানুষের ভালবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ১০ বছর আমাকে এই কেন্দ্রে কাজ করা সুযোগ করে দিয়েছেন আপনারা। রীতি মেনেই আমি আমার মনোনয়ন দাখিল করলাম।’’ সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে আক্রমণ করেন অভিষেক। সদ্য ভাইরাল হওয়া স্টিং ভিডিওতে যা শোনা গিয়েছে, সেই ঘটনায় সরাসরি রেখা পাত্রের জড়িত বলে দাবি অভিষেকের। অভিষেক বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে বাংলাকে কলুষিত করেছে। একটা দল এত নিকৃষ্ট মানের হতে পারে। গোধরা, পুলওয়ামা আমরা শুনেছি। সত্যপাল মালিক পুলওয়ামা নিয়ে বলেছেন। মোদি এদের নামে ভোট চেয়েছিল। আমরা শুনেছিলাম। আর সন্দেশখালি চোখে দেখলাম। বিজেপি মণ্ডল সভাপতি

কথা বলছেন। এখনও তার বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নেয়নি। একের পর এক মহিলা প্রকাশ্যে এসে বলছেন জোর করে অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। এসটি কমিশন ও মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।’ অভিষেকের আরও অভিযোগ, ‘রেখা পাত্র বলছেন ভুয়ো অভিযোগকারিণীর কথা। দলগত ভাবে এই ভিডিও ফুটেজ সুপ্রিম কোর্টে যেন ডিটিপি করে জমা দেওয়া হয়। রোবট নামিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক পর্রিকল্পিত। সন্দেশখালির বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। রেখা পাত্র যিনি বিজেপির প্রার্থী, যাঁর সঙ্গে প্রধাণমন্ত্রীর কথা বলছেন, সেই রেখা পাত্র বলছেন ভুয়ো নির্যাতিতাদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কে রেখা পাত্র? যিনি ২ হাজার টাকা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, এমনটা বলেছেন গঙ্গাধর কয়াল। প্রকৃত স্বরূপ এবার বেরিয়ে আসছে। মহিলারা বিজেপির স্বরুপ প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করেননি। বরং সাদা কাগজে পরিকল্পনা করে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করিয়েছে। একটা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে তদন্ত করেছে।’ তাঁর কথায়, ‘আজকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। প্রবীণদের আশীর্বাদ নিয়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে বিভিন্ন অঞ্চল, টাউন, ওয়ার্ড থেকে ভাইয়েরা এসেছে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ। দক্ষিণ কলকাতা আমার জন্ম। ডায়মন্ড হারবার আমার কর্মক্ষেত্র। উন্নয়নের জয়যাত্রা অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো দৌড়চ্ছে। মানুষ যেভাবে বিগত দিনগুলিতে সমর্থন রেখেছেন তার ব্যতিক্রম হবে না আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন সময়ের অপেক্ষা।’