মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে হাসপাতালের মধ্যেই ১১ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ এক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। আগ্রার সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ প্রশান্ত কুমার বলেন, দিলশাদ হোসেন (২৮) নামে অভিযুক্ত রেসিডেন্ট জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য মোট তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘ডাবল ইঞ্জিন’ যোগী রাজ্যে হাসপাতালের মধ্যেই নাবালিকাকে ধর্ষণের এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের বিরামহীন ঘটনার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। প্রশ্ন তুলেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। আগ্রার এসিপি আনন্দকুমার পান্ডে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মদনমোহন গেট থানায় বিএনএস ও পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি। এফআইআরে বলা হয়েছে, ১১ বছরের ওই বালিকাটি গত ৬ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। পরের দিন তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল শিশু বিভাগে। পরিবারের অভিযোগ, ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে বালিকাটিকে যৌন হেনস্তা করেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। আগ্রার হাসপাতালের এই ঘটনার মধ্যেই বিজনোরে এক চিকিৎসকের ক্লিনিকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক তথা স্থানীয় বিএসপি নেতা শাকিল আহমেদ সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। ক্লিনিকের মধ্যে ধর্ষণের ওই ঘটনা চিকিৎক ভিডিও করেন বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ওই চিকিৎসক বলেন, ওই মহিলা তাঁর ক্লিনিকে কখনও আসেননি। অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) রাম আর্য বলেন, ওই মহিলা গত ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, চার মাস আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাসুলিদিন নামে গ্রামের এক পরিচিত ব্যক্তি তাঁকে শাকিল আহমেদ নামে ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে এক নার্স তাঁকে ইঞ্জেকশন দিলে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সেই সময় বাসুলিদিন তাঁকে ধর্ষণ করে, চিকিৎসক তা ভিডিও করেন। পরে ফিরে গিয়ে বাসুলিদিনের ছেলে আজিমকে ঘটনার কথা জানালে সেও ওই মহিলাকে হেনস্তা করে। পুলিস জানিয়েছে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বাসুলিদিন, তার ছেলে আজিম, চিকিৎসক শাকিল আহমেদ ও নার্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।