আরজি কর হাসপাতালের হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তে মানা হয়নি নিয়ম । দিল্লি এইমস-এর রিপোর্টে এবার এমনই তথ্য উঠে এল ৷ ইতিমধ্যেই, সিবিআই-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আদর্শ কুমারের নেতৃত্বে ১১ জন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ‘মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন । ৮ পাতার ওই রিপোর্টে রয়েছে ৯ টি উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট । ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি-সহ একাধিক তথ্য খতিয়ে দেখে নতুন রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশেষ এই দল । রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত করার সময় নিয়ম বহির্ভূত একাধিক কাজ হয়েছে । নয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয় আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে । তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ৮ অগস্ট রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে । তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ধর্ষণেরও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ তাঁর হাইমেন পর্দা ছেঁড়া ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে ৷ সেই সঙ্গে, তরুণী চিকিৎসকের সারা শরীরে কামড়ের দাগের সঙ্গে লালার নমুনা পাওয়া গিয়েছে । সেই নমুনার সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের লালা সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টে ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় বহু মানুষ ঘরে উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ফোনে ভিডিয়ো এবং ছবি তুলেছেন। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি থেকে এই সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে ।