ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে রাজধানীর রাজপথ। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (CPCB)-এর তরফে দিল্লির AQI রেকর্ড করা হয়েছে ৪২৭, যা ‘মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জনজীবনের উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। গত সপ্তাহেই গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP)-৩ কার্যকর রয়েছে রাজধানীতে। কিন্তু তার পরেও দিল্লির বাতাসের গুণমানের উন্নতি না হওয়ায় ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে দিল্লির গড় AQI ৩৫৯, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। রবিবার সকালে দিল্লির AQI ছিল ৩৮৬। কিন্তু সোমবার পরিস্থিতির উন্নতি বদলে উল্টে খারাপ হয়ে গিয়েছে। CPCB-র তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে দিল্লির বাওয়ানা এলাকার AQI ৪২৭ এবং দ্বারকার AQI ২২৫ রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন দিল্লির একাধিক এলাকা বিষাক্ত ধোঁয়ার ঘন আস্তরণে ঠেকে গিয়েছে। ইন্ডিয়া গেট এবং কর্তব্য পথ-সহ একাধিক এলাকা বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। CPCB-র দাবি অনুযায়ী, দিল্লির কর্তব্য পথ এলাকার AQI ৩৪১। এ ছাড়াও, চাঁদনি চক ৩৮৩, আর কে পুরম ৩৬৬, ITO ৩৯৪, পঞ্জাবি বাগ ৩৮৪, পাটিয়ারগঞ্জ ৩৬৯, পুসা ৩৬৫ এবং আনন্দ বিহার ৩৮৩ AQI পরিমাপ করেছে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড। দিল্লির বাতাসের গুণমানের অবনতির সঙ্গে ক্রমশ নামছে তাপমাত্রার পারদও। IMD সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দিল্লির তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। পারদ পতনের সঙ্গে রাজধানীর বাতাসের মান নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজি (IITM) জানিয়েছে, দিল্লির দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে আসা খড় (নাড়া) পোড়ানোর ধোঁয়া। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে খড় (নাড়া) পোড়ানো নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে। সঙ্গে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


