রাস্তা হেঁটেই রাজ্য জুড়ে প্রতিরোধ আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে বামেরা। চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা। দৈর্ঘ্যটা খুব একটা কম নয়, প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার। কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন, ফেডারেশন সমূহ এবং ১২ই জুলাই কমিটির নেতৃত্বে আগামীকাল ৩০শে নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জি এম অফিসের সামনে থেকে শুরু হবে এই ‘লং মার্চ’। চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, রানীগঞ্জ, দুর্গাপুর, পানাগড়, গলসী, বর্ধমান, মেমারি, পান্ডুয়া, বাঁশবেড়িয়া, চাপদানি, বালী হয়ে যে লং মার্চ ১১ই ডিসেম্বর কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শেষ হবে। বামেদের শ্রমিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি এই লং মার্চে অংশ নেবে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনও।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক বামেদের পক্ষ থেকে লং মার্চের ১২ দফা দাবীর বিষয়গুলি —
১) কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর
২) কাজ না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে বেকার যুবক-যুবতীদের বেকার ভাতা দিতে হবে
৩) মাসে ২১হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে হবে
৪) ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের প্রতি মাসে বেঁচে থাকার মতো ভাতার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে
৫) রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণ বন্ধ কর
৬) প্রতিরক্ষা ও কয়লা ক্ষেত্রে ১০০শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ কর
৭) বিএসএনএল, এয়ার ইন্ডিয়া, ভারতীয় রেল, প্রতিরক্ষা কারখানাগুলিতে বড় আকারের বেসরকারীকরণ বন্ধ কর
৮) রেগায় ২০০দিনের কাজ ও নির্দিস্ট হারে মজুরি দিতে হবে
৯) এমজিএনরেগা-য় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং বকেয়া প্রদান সুনিশ্চিত করতে হবে
১০) কৃষির সঙ্কট এবং কৃষক আত্মহত্যা রুখতে কৃষককে ঋণ এককালীন মকুবের ব্যবস্থা করতে হবে
১১) অবিলম্বে উত্পাদন খরচের দেড়গুণ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা এবং রূপায়ণ করতে হবে
১২) বিধবা ভাতা/বার্ধক্য ভাতার পরিমাণ মাসে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা করতে হবে
ফাইল চিত্র।