কলকাতা

সুজনবাবুকে ফোন করেছিলাম, চাইলে মৃতের পরিবারকে চাকরি দেব, শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন- মৃত্যু সব সময় দুঃখের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, মইদুল ইসলাম মিদ্যা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও কেন পুলিশ বা বাড়ির লোককে জানানো হল না?

বামেদের নবান্ন অভিযানে আহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে তিনি বলেন, মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর। এদিন মমতা বলেন, ‘মৃত্যু সব সময় দুঃখের। আমি সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, কী ভাবে মারা গিয়েছে সেটা পোস্ট মর্টেম হওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি ২ দিন আগে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাদের একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি।’ গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম যুবাদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিতে আহত হন মইদুল। এর পর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। বাম নেতৃত্বের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। সোমবারই কলকাতার পুলিশ মর্গে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।