কসবা ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের কুকীর্তির শরিক তাঁর নিরাপত্তাপক্ষীও! সূত্রের খবর, তাঁর দেহরক্ষীকেও বেআইনি নিয়োগপত্র দিয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন দেবাঞ্জনের। দেবাঞ্জনের নানা রহস্যময় কার্যকলাপ, জালিয়াতির সঙ্গে অরবিন্দর যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। দেবাঞ্জনের কার্যকলাপের সঙ্গে অরবিন্দর যোগাযোগ থাকতে পারে সন্দেহে পুলিশ তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে। অরবিন্দের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানায় পুলিশ । বিভ্রান্তিকর বয়ান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোয় অরবিন্দেরও যোগ ছিল কিনা, সে ব্যাপারে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করেছে পুলিশ। কিন্তু তাঁর উত্তর সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছে তারা। বয়ানে অসঙ্গতি, বিভ্রান্তি রয়েছে বলে বক্তব্য পুলিশের।
বৃহস্পতিবার রাতে অরবিন্দ গ্রেফতার হয়। ঘটনাচক্রে কসবার নকল ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোর নায়ক দেবাঞ্জনের রাজনৈতিক যোগ নিয়ে ইতিমধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে শাসক, বিরোধী শিবিরের মধ্যে। বিজেপির দাবি, শাসক দলের নেতাদের আশীর্বাদের হাত ছিল দেবাঞ্জনের মাথায়। তাই তিনি অপরাধের জাল এতদূর ছড়াতে পেরেছেন। পাল্টা তৃণমূলের তরফে খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে অরবিন্দের যোগাযোগের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে অরবিন্দের ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কী করে এই লোকটি রাজভবনের অন্দরে জায়গা পেল! অরবিন্দের সঙ্গে রাজ্যপালের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের বলে অভিযোগ করেন তিনি। সুখেন্দুবাবুর প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেবাঞ্জনের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন অরবিন্দ। আরেকটি ছবিতে রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। শোনা গিয়েছে, ওই দেহরক্ষীর মাধ্যমে নাকি বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের বাড়িতে খাম, উপহার পৌঁছে যেত, এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সুখেন্দু। রাজ্যপালের সঙ্গে নানা ইস্যুতে তৃণমূলের সংঘাত চরমে উঠেছে।