অবশেষে বিধাননগর পুরসভা কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করলেন সব্যসাচী দত্ত। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে পদত্যাগ ঘোষণা করলেন তিনি। তাঁর পদত্যাগপত্র তিনি পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং পুরসভার ৩৯ জন কাউন্সিলরদের পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানালেন সব্যসাচী দত্ত। এদিনই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির কথা ছিল। কিন্তু অনাস্থা প্রক্রিয়ায় গোলমাল থাকায় হাইকোর্ট বুধবার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় ভোট স্থগিত হয়ে যায়। সব্যসাচীর অভিযোগ, গত পাঁচ তারিখ বিদ্যুত্ ভবনের সর্বভারতীয় কর্মী সংগঠনের সভাপতি হিসেবে একটি বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে, তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিতে কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সনের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। কিন্তু কৃষ্ণা চক্রবর্তী সেসময় ছুটিতে থাকায় তাঁর হয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন পুরসভার কমিশনার। ওই চিঠি আইনসঙ্গত নয় বলে পাল্টা দাবি করে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চাটার্জির কাছে রিট পিটিশন দাখিল করেন সব্যসাচীর আইনজীবী। সব্যসাচীর অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্ট সেটি বাতিল করে এবং অনাস্থা ভোট রদ করে দেয়। হাইকোর্টের এই আদেশ তাঁর ‘নৈতিক জয়’, দাবি করলেন সব্যসাচী দত্ত। নিজের পদত্যাগের কারণ হিসেবে সব্যসাচী বলেছেন, ‘আমি কখনও দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করিনি। এবং ভবিষ্যতেও তা করতে পারব না। মেয়র হিসেবে বিধাননগর পুরসভা রক্ষা করতে পারিনি বলেই পদত্যাগ করলাম।’