আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । নয়া কর্মসূচির নাম, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। দু’টি ভাগে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। প্রতিদিন হবে ‘জনসংযোগ’ এবং ‘গ্রাম বাংলার মতামত’। নয়া কর্মসূচি উপলক্ষ্যে দু’টি লোগো ও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় এদিন। এদিন অভিষেক বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে ২ মাসেরও বেশি দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে তা শেষ হবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সাগর বা পাথর প্রতিমাতে। প্রতিদিন হবে প্রায় ৩ থেকে ৫টা সভা। কর্মসূচি শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। এদিন ‘তৃণমূল যুবরাজ’ বলেন, দলের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক-অবাধ-শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোট। রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার পঞ্চায়েত বুথ এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ করা হবে। তিনি বলেন, জনসংযোগের পরে হবে ক্যাম্প অধিবেশন। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন বুথ সভাপতি
এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। হবে রাত্রি যাপন। প্রতি ক্যাম্পে জমায়েত হবে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার। হবে নৈশভোজ। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন কাকে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা দেখতে চান। সেই মতামত নেওয়া হবে গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে। বুথ, সমতি, জেলাপরিষদের প্রার্থী হিসেবে মানুষ যাকে চান, তাঁকেই দল প্রার্থী করবে। এমনটাই দাবি অভিষেকের। তিনি বলেন, জেলা কমিটি থেকে আগেই এসেছে ‘উইশ লিস্ট’। তবে প্রাধান্য দেওয়া হবে জনগণের মতকেই। তাঁর বক্তব্য, যিনি এলাকাবাসীর পাশে সর্বক্ষণ থাকেন, যিনি পরিষেবা দিতে সর্বক্ষণ প্রস্তুত, তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং সমর্থকরা এই ক্যাম্পে এসে নিজেদের মতামত দিতে পারেন। বলেন, রাস্তা-জল-আলো-হাসপাতাল সহ পঞ্চায়েত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন আনতে এই কর্মসূচি চালু হচ্ছে। তাঁর দাবি, এর আগে কোনও নির্বাচনে এভাবে বুথে বুথে গিয়ে টানা এমন কর্মসূচি হয়নি। রাজ্যের মেরুদণ্ড ‘পঞ্চায়েত’ দাবি করে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে আমূল পরিবর্তন আনতেই এই উদ্যোগ। আরও জানান কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম হয়ে চলবে এই কর্মসূচি। বলেন, কোচবিহারে ৩ দিন, আলিপুরদুয়ারে ১ দিন, জলপাইগুড়িতে ২ দিন, মুর্শিদাবাদে ৪ দিন থাকবেন তিনি।