বিনোদন

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সম্বর্ধনায় আপ্লুত অপু

জ্যোর্তিময় দত্ত, কলকাতাঃ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাংলাদোশি অপু বিশ্বাসকে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে সম্বর্ধনা দিল কলকাতায় অবস্থিত ইন্দোবাংলা প্রেসক্লাব। “উৎসবের রঙে অপুর সাথে” শিরোনামে সোমবার সন্ধ্যায় ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অভিনেত্রীকে অপু বিশ্বাসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সম্মাননা পেয়ে আপ্লুত অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাকে এত বড় সংবর্ধনা দিয়েছেন সেটা আমি পাওয়ার কতটা যোগ্য তা আমি নিজেও জানিনা। সেই জায়গা থেকে দেড়ঘন্টা কখন কেটে গেল আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না। মনে হল আমি বাংলাদেশের একটা টুকরোর মধ্যে বসে ছিলাম। কলকাতার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এর পাশাপাশি বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি, আপনাদের দেওয়া সাম্মানিক সদস্য পদ পেয়ে। এখন তো আমিও ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের একজন সদস্য হয়ে উঠলাম। আমার তরফ থেকে কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে অবশ্যই জানাবেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী। উত্তরিয় দিয়ে সম্মান জানান ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়। মানপত্র তুলে দেন ক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার। অপু বিশ্বাসের নামাঙ্কিত স্মারক তুলে দেন ক্লাবের সম্পাদক শুভজিৎ পুতুটুন্ডু ও সহ-সভাপতি সত্যজিৎ চক্রবর্তী। এর সাথে কলকাতার ঐতিহ্যশালী মিষ্টি তুলে দেন ক্লাবের ট্রেজারার দীপক দেবনাথ। পাশাপাশি নিজে খেলেন কলকাতার রসগোল্লা এবং খাওয়ালেন সকলকে। এদিন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের পরনে ছিল নীল রঙের টপ ও কালো রঙের টাউজার। যদিও সময়ের অনেকটা পরেই ঢুকে ছিল অপু। ঢুকেই তিনি বলেন, আমার একটু দেরি হয়ে গেল। কারণ ছেলেটাকে একটু সময় দিচ্ছিলাম। এরপরই বলেন, আমি আসলেই লাকি। ভালবাসা সবাই পায় না। ভালোবাসা পাওয়ার ভাগ্য লাগে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অপু বলেন, অভিনেত্রী না হলে আমার ইচ্ছে ছিল নৃত্যশিল্পী হওয়ার এবং আমি একটু যুক্তি নিয়েই কথা বলি। সে কারণে ছোটবেলা থেকে আর একটি শখ ছিল উকিল হওয়ার। যদি আমি সিনেমার হিরোইন না হতাম। তাহলে অবশ্যই আমি নৃত্যশিল্পী বা উকিল হতাম। সারাদিন সংসার, সন্তান, শুটিং কিভাবে সময় দাও। অপু বলেন, যে রাধে সে অবশ্যই চুল বাধে। আর আমি এমন ভাবেই সারাদিন আমার সিডিউল সাজাই। যাতে আমি ব্যস্ত থাকতে পারি। তারমধ্যে অবশ্যই আমার ছেলে আব্রাম খানের জয়েরও লক্ষ্য রাখি।

বিজয় দশমীতে সিঁদুর খেলা নিয়ে প্রশ্ন করলে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন,  ঠাকুরের সামনে যেকোন মানুষ, যেকোন মানুষের জন্য মঙ্গল চাইতে পারে। আমি একজন অভিনেত্রী। একটা ছেলের হাতেই সিঁদুরের টাচ করলেই বিয়ে হয়ে যায় ছোটবেলায় আমরা দেখেছি বা শুনেছি আমি অজস্র সিনেমায করেছি এরকম সিঁদুর পরা নিয়ে, আমি আমার চরিত্রের মধ্যেই ছিলাম। বাস্তব জীবন পুরোটাই আলাদা। আমার স্বামী যদি থাকতো তাহলে আমি স্বামীকে নিয়েই সব জায়গায় যেতাম। আমি অপু বিশ্বাস বলেই এত সমালোচনা, আমি এই বিষয়টাকে উপভোগ করি। অভিনয়ের বাইরে গিয়ে রাজনীতিতে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি অভিনেত্রী হিসাবে অনেক সুন্দর ভাবে রান করছি আমার এখনো সময় দরকার ।

শাকিব খান এবং শবনম বুবলির প্রেম, বিয়ে সন্তান নিয়ে মিডিয়া অপুকে প্রশ্ন করলে হেসেই উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘এগুলো ব্যক্তিগত বিষয় এগুলো আমি না বললেই ভালো। এর পাশাপাশি ক্লাবের ১৪ই মার্চ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অপুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অপু বলে শুটকি ভর্তা থাকলে আমি অবশ্যই আসবো। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওইদিন জমকালো অনুষ্ঠানের সাথে ১৮ রকমের তা থাকবে কিন্তু শুটকি ভর্তাটা মাথায় আসেনি অবশ্যই অপু যখন বলেছে তার ব্যবস্থা থাকবে।