উত্তরাখণ্ডে ১২০ ঘন্টা সুড়ঙ্গে আটকে ৪০ জন শ্রমিক। সময় পেরোচ্ছে, আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। লাগাতার চেষ্টার পরেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি তাঁদের। জানা যাচ্ছে, পাইপ দিয়ে জল, অক্সিজেন, ওষুধ, খাবার পাঠানো হলেও এবার তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল কাজ শেষ হতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে। থাইল্যান্ডের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধারকারী দল। পাইপ দিয়ে যাতে শ্রমিকদের যাতে সহজে বের করে আনা যায় তার জন্য থাইল্যান্ডের সংস্থার পরামর্শ নিচ্ছেন আধিকারিকরা। সুড়ঙ্গের ভিতরে কিভাবে অপারেশন চালানো যায় সে বিষয়ে পরামর্শের জন্য নরওয়েজিয়ান জিওটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকেও পরামর্শ নিচ্ছেন আধিকারিকরা। ১২ নভেম্বর এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডে। দিওয়ালির সকাল, অন্যান্য দিনের মতোই দিনের শুরু হওয়ার আগেই কাকভোরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান টানেল। ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সিল্কিয়ারা থেকে দান্দলগাঁও পর্যন্ত তৈরি হচ্ছিল এই টানেল। দুর্ঘটনার পরেই দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। মাটি, পাথর সরানো কাজ তৎক্ষণাৎ শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত ভেতরে আটকে থাকা ৪০ জনকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। আগেই জানা গিয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, বিহার এবং বাংলার বাসিন্দা।