দেশ বিদেশ

আমেদাবাদের দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে টালবাহানা করছে বিমান সংস্থা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ব্রিটেনের 

বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে উড়ান সংস্থা! ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমানোরও চেষ্টা শুরু করেছে তারা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন ব্রিটেনের আইনি উপদেষ্টা সংস্থা স্টিওয়ার্ট-এর অন্যতম অংশীদার পিটার নিনান। গত ১২ জুন আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি। লন্ডনগামী ওই বিমানের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৪১ জন যাত্রীর। এঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটেনের ৫৩ জন নাগরিক। দুর্ঘটনার পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে পরিবারপিছু এক কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। পরে আরও ২৫ লক্ষ টাকা ‘তাৎক্ষণিক সহায়তা’ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী উড়ান সংস্থার আরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা। বিমানটি আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে। তাতে মৃত্যু হয় পাঁচজন মেডিক্যাল পড়ুয়া সহ ২৯ জনের। এঁদের জন্যও সহায়তার জন্যও একটি স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। আইনি উপদেষ্টা সংস্থা স্টিওয়ার্ট-এর অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্ট্যান্ডার্ড’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পরে অধিকাংশ বিমান সংস্থাই ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং মৃতের নিকটাত্মীয়দের পরিচয়পত্র চায়। এরপর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক পৌঁছে দেওয়া হয়। অথচ, এই সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারবর্গকে একটি প্রশ্নমালা (কোয়েশ্চেনিয়ার) দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির উপর আর্থিকভাবে তাঁর পরিবার নির্ভরশীল কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর না দিলে কোনও আর্থিক সহায়তা মিলবে না বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থার আশঙ্কা, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কমাতেই এই প্রচেষ্টা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে তাদের অফিসে ডেকে দরজা বন্ধ করে একটি নথিতে সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সই না করলে অর্থ মিলবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পিটার নিনান বলেন, ‘ব্রিটেনের মৃতদের মধ্যে অনন্ত ৪০টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।’ প্রশ্নমালা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের আমেদাবাদের একটি অফিসে ডাকা হচ্ছে। সেখানে খুব ভিড়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কোনও জায়গা নেই। সেখানে গেলেই একটি নথিতে দ্রুত সই করতে বলা হচ্ছে। সেই নথির কোনও কপিও দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী নথি নিয়ে আলোচনার জন্য আইনজীবীর সহায়তার সুযোগও নেই। কেউ যদি নথিতে সই না করেন, তখন নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।