কলকাতা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কালীঘাটে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক তৃণমূল সুপ্রিমোর

এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে হলে, পঞ্চায়েত নির্বাচন হল সেমিফাইনালের মত। এখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার মামলা সহ নানা ইস্যুতে এখন বেশ কোণঠাসা তৃণমূল। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জেলবন্দি থাকায় চাপ বাড়ছে। তবে তারপর দিদির দলের ওপর সবচেয়ে বড় ঝড় আসে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে। ২০১১ থেকে নিশ্চিত জেতা আসনে কংগ্রেসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে মাথানত হয়েছে দিদির দলের। দিদির দূতদের মানুষের দুয়ারে পাঠানোর পর এবার পদক্ষেপের পালা। এমন সময় দলের অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা ঠিক করতেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরায় একবারে খারাপ ফল, সাগরদিঘির হারের পর এবার দলীয় সংগঠনেও আরও কিছুটা সময় দিতে চান মমতা। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে হলে বাংলাতে তৃণমূলকে প্রত্য়াশার চেয়েও ভাল ফল করতে হবে। আর সেটা বুঝতে পেরেই এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চান দিদি। মমতার পাখির চোখ এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের অভিজ্ঞ নেতাদের কাছে গ্রামীন ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে আলোচনা সারবেন মমতা। তাতে গ্রামীন উন্নয়ন, দলের নিচুতলার কর্মীদের ব্যাপারে খোঁজখবর, সংগঠনিক দুর্বলতা, সংখ্যালঘু ভোটব্য়াঙ্ক নিয়ে কথা বলতে পারেন দিদি। এমনও শোনা যাচ্ছে দলের অভিজ্ঞ নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন জেলার বিশেষ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল নিয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছেন মমতা।