কলকাতা

চতুর্থ দফার আগে ফের ৩ জেলার জেলাশাসক-কে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন, সরানো হল কলকাতার ২জন ওসি-কেও

কলকাতাঃ কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এবার একসঙ্গে তিন জেলাশাসককে অপসারিত করল কমিশন। যার মধ্যে রয়েছে  দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।  বদলি করা হল কলকাতার রিজেন্ট পার্ক ও বাঁশদ্রোণী থানার ওসি-কে। অপসারিত তিন জেলাশাসক হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নিখিল নির্মল, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক এনাউর রহমান ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। তিন জেলায় নতুন জেলাশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, সি মুরুগান (দক্ষিণ দিনাজপুর), শিল্পা গৌরীসারিয়া (পূর্ব বর্ধমান) ও অনুরাগ শ্রীবাস্তব (পশ্চিম বর্ধমান)। অপসারিত তিন জেলাশাসককে নির্বাচনের কাজে রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।রাজ্যে ভোট নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেই বিজেপির দাবি মেনে একের পর এক জেলাশাসক , পুলিশ সুপার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের অপসারণের পথে হেঁটেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, পশ্চিমাঞ্চলের এডিজিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই পদে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আধিকারিক পি নীরজনয়ন, জগমোহন ও রাজেশকুমারকে বসানো হয়। ভোটের মুখে সরিয়ে দেওয়া হয় ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানিকে ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। তাঁদের পরিবর্তে বসানো হয় গেরুয়া শিবিরের কাছের আধিকারিক হিসেবে পরিচিত জয়সী দাশগুপ্ত ও স্মিতা পাণ্ডেকে। তৃতীয় দফার ভোটের আগে সরানো হয় আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি,  ডায়মন্ড হারবারের (শিল্পাঞ্চল) ডেপুটি পুলিস কমিশনার মিঠুন দে ও চন্দননগরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার তথাগত বসুকে। আর এদিন এক ধাক্কায় সরিয়ে দেওয়া হল তিন জেলার জেলাশাসককে। যে তিন জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা তিনজনেই যথেষ্ট কর্মঠ ও দক্ষ আধিকারিক হিসেবে পরিচিত।