মহারাষ্ট্রের জেলা দায়রা আদালতে ৭৫ জন নতুন বিচারক নিয়োগ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তাঁদের মধ্যে ৪২জনই মহিলা ৷ বিচারক পদে মহিলাদের এই নিয়োগে উচ্ছ্বসিত দেশের প্রধান বিচারপতি বললেন সময় যে বদলাচ্ছে এটা তারই ইঙ্গিত ৷ শুক্রবার এমনটাই বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়৷ এদিনমহারাষ্ট্রে ৭৫ জন বিচারককে নিয়োগ করেন তিনি ৷ তিনি এদিন ঘোষণা করেন, ৭৫ জন বিচারকের মধ্যে ৪২ জন মহিলা ৷ নবনিযুক্ত এই বিচারকদের মধ্যে জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়, সফল গায়িকা, চিত্রশিল্পীরাও আছেন ৷তিনি বলেন, ৭৫ জনের এই ব্যাচের মধ্যে ৪২ জন মহিলা এবং ৩৩ জন পুরুষ ৷ ৫ জন জেলা বিচারককে সরাসরি নিযুক্ত করা হচ্ছে ৷ এর মধ্যে ২ জন মহিলা ৷ সময়ের পরিবর্তন হচ্ছে ৷ এই ঘটনা সে কথাই বলছে ৷ প্রায় 40 শতাংশ মহিলা বিচারক হিসেবে জেলার বিচার ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছেন ৷ তিনি আরও জানান, আদালতে মহিলা বিচারকের নিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি অনুপ্রেরণা দেয় ৷এদিন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া দেখতে মহারাষ্ট্রের বিচারকরা দেশের প্রধান বিচারপতির কক্ষে উপস্থিত হন ৷ সেখানে একটি মামলার সওয়াল-জবাবে হাজির ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী দুষ্মন্ত দাবে ৷ তিনি বলেন, সাংবিধানিক আদালতগুলিতে মহিলারা যোগ দিন ৷ তাঁদের আমরা স্বাগত জানাই ৷ কোনও আইনজীবীর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন ৷ প্রধান বিচারপতি উপস্থিত বিচারকদের এই কথা জানিয়ে বলেন, ১৫ বছর আগে যে যাত্রার সূচনা হয়েছিল আজ তা পূর্ণতা পাচ্ছে ৷ আজ আমরা যাঁদের এই বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করছি, তাঁরা সেটা প্রমাণ করছেন ৷ বহু আইনজীবী ঠিকঠাক শুনতে পান না ৷ তাঁদের সহযোগিতা করতে সম্প্রতি আদালতে ইন্টারপ্রিটার নিয়োগ করা হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টে এই ধরনের নিয়োগের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছে ৷ এই ঘটনার উল্লেখ করে দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে বলছিলাম, এবার থেকে সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলাগুলিতেও ইন্টারপ্রিটার নিয়োগের বন্দোবস্ত করতে হবে ৷ যাতে আদালত কক্ষে উপস্থিত আরও বেশি শ্রোতার কাছে বিচার-প্রক্রিয়াটি পৌঁছে দেওয়া যায় ৷ আইনজীবী সারাহ সানির শ্রবণের সমস্যা রয়েছে ৷ সর্বোচ্চ আদালত রেজিস্ট্রিকে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁর জন্য একজন ইন্টারপ্রিটার নিয়োগ করতে হবে ৷ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান আরেক প্রবীণ আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী ৷