আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করার কথা ভাবছে আরজেডি-সহ বিহারের বিরোধী দলগুলি ৷ ভোটমুখী বিহারে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷ এর প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে বিধানসভায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হয়েছে আরজেডি-সহ বিরোধীরা ৷ এদিকে, এখনও এসআইআর প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেনি নির্বাচন কমিশন ৷ এদিনই এসআইআর-এর প্রতিবাদে পটনায় বিধানসভা অভিযানে নামে কংগ্রেস ও দলের ছাত্র সংগঠন ৷ তাঁদের নিয়ন্ত্রণে জলকামান ছোড়ে পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে লালু-তনয় তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “একটা বিষয় স্পষ্ট ৷ সবকিছু আগে থেকে ঠিক করা আছে ৷ প্রকাশ্যে গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে ৷ ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে ৷ অথচ এই লক্ষ লক্ষ ভোটারই মোদিজিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন ৷ বেশ কয়েকটি সরকার গড়েছেন ৷ তখন সব ঠিকই ছিল ৷ এখন হঠাৎ কী গোলমাল হল ? প্রশ্ন তো এটাই ৷ এই অবস্থায় আমরা ভোট বয়কটের কথা বিবেচনা করে দেখছি ৷ গণতন্ত্রে যদি মানুষই ভোট না দিতে পারে, তাহলে নির্বাচনের মানে কী ? আমাদের কাছে এই বিকল্প পথটাই খোলা আছে ৷” তিনি এই প্রক্রিয়াকে বিরোধীদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন ৷ এ বিষয়ে তিনি বারবার বিধানসভায় আপত্তি জানিয়েছেন ৷ এসআইআর ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিহারের বিধানসভা অধিবেশন ৷ এমনকী সংসদের বাদল অধিবেশনেও প্রতিদিন তুলকালাম কাণ্ড চলছে ৷ বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ৷ তাঁর দাবি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মজবুত করতে নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ ভোটার তালিকা তৈরি করছে ৷ তা না করে কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রেখে দেওয়া কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ স্থানান্তরিত হয়েছেন এমন ভোটারদের নামও তালিকায় রেখে দেওয়া সম্ভব নয় ৷ এর আগে ভোটমুখী বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়াকে ঘিরে বুধবারও উত্তপ্ত হয় বিহার তথা দেশের রাজনীতি ৷ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে সরাসরি বচসা বাধে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ৷ লালু-তনয়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী জানান, তেজস্বী যখন ছোট ছিলেন তখন বিহারের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ ৷ এনডিএ-র শাসনে বিহার বদলেছে ৷


