সংসদে চলতি বাদল অধিবেশনে একাধিকবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কখনও কংগ্রেস, কখও তৃণমূল বা কখনও অন্য বিরোধী দলগুলো। বারবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাংসদরা। এবার পাল্টা চাল দিল বিজেপি। সেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি সাংসদরা। নারী নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি-সহ একাধিক ইস্য়ুতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশের সরব হলেন দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। বাগনানে ধর্ষণের ঘটনা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বুধবার সাংসদে একাধইক ইস্য়ুতে সরব হলেন এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। তাঁদের নিশানায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের শাসনে এ রাজ্যে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই। রাজ্য়ে ধর্ণষের ঘটনা ঘটছে। বিরোধীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। বিরোধীরা সুক্ষিত নন। এছাড়া ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ড নিয়েও সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগে সরব বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, “এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর ৫০ জন মহিলার উপর অত্যাচার হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাসানো হচ্ছে। আমার গাড়ি ভাঙা হয়েছে। বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর হামলা হয়েছে। জে পি নাড্ডার উপর হামলা হয়েছে। নারী নির্যাতন, অত্যাচার জলভাত হয়ে গিয়েছে। আর সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এখন প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন।” পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূলও। সুখেন্দুশেখর রায়ের পালটা দাবি, “ওদের দল নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত এমন ব্যক্তি রয়েছে। তাঁকে ওরা মন্ত্রীও করেছে। আমাদের নেতারা ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আগে নিজেদের দেখুক, তারপর আমাদের বলবে।”