জেলা

ঘরে ঢুকে রোগীর মেয়ের শ্লীলতাহানি, বর্ধমান মেডিক্যালে গ্রেফতার ওয়ার্ডবয়

হাসপাতাল চত্বরে রোগীর মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ৷ ওয়ার্ডবয়কে গ্রেফতার করল বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ ৷ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনায় আরেকবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ৷ খোদ হাসপাতাল চত্বরে এমন ঘটনায় অবাক সকলে ৷ ধৃত ওই ওয়ার্ডবয়কে সোমবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক আদিবাসী মহিলা বেশ কিছুদিন ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন । হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের নীচের একটা ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে । সেই কারণে গত শনিবার থেকে ওই মহিলার বিবাহিত মেয়ে তাঁর মায়ের কাছেই রয়েছেন । অভিযোগ, রবিবার বিকেল নাগাদ ওই মহিলা যখন তার মায়ের সঙ্গে মহিলা ওয়ার্ডে ছিলেন সেই সময় ওই ওয়ার্ডবয় ঘরে ঢুকে পড়ে । তারপর ঘরের লাইট নিভিয়ে দিয়ে ওই মহিলাকে জড়িয়ে ধরে । এরপর শাড়ি টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করে । চিৎকার করতে গেলে তাঁর মুখ চেপে ধরে চড় ঘুষি মারা হয় । মহিলা কোনওরকমে নিজেকে ছাড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন । সেই চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসে । তারা ঘরের লাইট জ্বালাতেই ওয়ার্ডবয় সেখান থেকে পালিয়ে যায় । বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই রোগীর মেয়ে । মহিলার কাছ থেকে বয়ান শোনার পরে পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে । সিসিটিভির ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয় । এরপর ওই অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ । সোমবার অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে বর্ধমান আদালতে তোলে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয় । আদালত দু’দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে । জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ কালীতলা এলাকায় । 21 বছর ধরে সে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়ের কাজ করছে । এর আগে তার নামে এরকম ঘটনার অভিযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান মহিলা থানা ৷ তবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে এমন শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বাকিরা ৷