শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে 110 কিমি বেগে আছড়ে পড়বে এটি ৷ এর প্রভাবে অন্ধ্র এবং ওড়িশার উপকূলে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা ৷ তবে বাদ যাবে না বাংলাও ৷ ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ সেই সঙ্গে 30 অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিও ৷ মঙ্গলবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে 32 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে ৷ দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা ৷ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান বিশ্বাস । মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির (7-11 সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে । বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘণ্টায় 30 থেকে 40 কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে । বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে । দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মূলত পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং দুই বর্ধমান জেলার কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ শনি এবং রবিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে ৷ তবে কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস । দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি কোথাও ভারী তো কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে উত্তরবঙ্গ ৷ মঙ্গলবার এবং বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদা ও দিনাজপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তরের সমস্ত জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (7–20 সেমি) সম্ভাবনা রয়েছে । বিশেষ করে উপরের 5টি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । শনি এবং রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমলেও কয়েকটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷
অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের মছলিপত্তনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে কাকিনাড়া সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মন্থার ল্যান্ডফল হবে ৷ সেই সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় 90 থেকে 100 কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । পরে তা বেড়ে ঘণ্টায় 110 কিলোমিটারও হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের ৷ এর ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে । ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব থাকায় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷


