রাজ্যে দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের বিরাট সংখ্যক চিকিৎসক ও পুলিশ করোনা আক্রান্ত ৷ এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য, বৃহস্পতিবার বেলা দুটোর মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে যে, গঙ্গাসাগর এলাকায় একটিমাত্র ছোট হাসপাতাল রয়েছে ৷ সেখানকার চিকিৎসকও করোনা আক্রান্ত । পাশাপাশি রাজ্যে প্রতিদিন 50 শতাংশ করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এই সমস্ত বিষয়ের কথা মাথায় রেখে এবং সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে যেন রাজ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৷ মামলাকারী চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডলের তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, “মামলাকারী পেশায় একজন চিকিৎসক হওয়ায় সামনে থেকে করোনা পরিস্থিতি দেখেছেন । রাজ্যের টেলি মেডিসিন ডাক্তারদের প্যানেলে ছিলেন তিনি । বর্তমানের রাজ্যে সংক্রমণের হার ১৯ শতাংশ এবং পাশাপাশি কলকাতায় সংক্রমণের হার ৩৪ শতাংশ । গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে কলকাতার বাবুঘাটে ইতিমধ্যেই তাঁবু পড়তে শুরু করেছে ৷ ফলে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে ৷ সরকার আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্ক করেছিল ৷ তারপরেও একটা ছোট্ট দ্বীপে কীভাবে লক্ষ লক্ষ লোকের জমায়েতে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ? গঙ্গাসাগরে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ লোকের জমায়েত হয় ৷ করোনার কারণে উত্তরাখণ্ড সরকার গত বছর চারধাম যাত্রা স্থগিত রেখেছিল । গঙ্গাসাগর মেলায় অনুমতি দেওয়ার আগে প্রশাসনের এই সমস্ত বিষয় মাথায় রাখা উচিত ছিল ।”