মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে কার্যত আদালতে নিজেদের মুখ পোড়ালো গেরুয়া শিবির। ‘সরকারি কর্মচারী পরিষদ’ নামে বিজেপির পরিচালিত সরকারি কর্মী সংগঠন সম্প্রতি যুক্ত হতে চেয়েছিল ডিএ মামলায়। সেই জন্য তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনও জানায়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। নতুন করে এই মামলায় কোনও সংগঠনকে যুক্ত করা হলে শুনানি আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, এই কারন দেখিয়েই এদিন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আর তাতেই মুখ পুড়েছে বিজেপির। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১৯ সালেই স্যাট রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। প্রাপ্য টাকা দিতেই হবে সরকারকে। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় রাজ্য সরকারকে। অন্যদিকে স্যাটের নির্দেশ না মানার জন্য আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে কর্মচারী সংগঠন। সেখানে ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালের মধ্যে সব বকেয়া ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের একবার হাইকোর্টে আসে রাজ্য সরকার। সেই মামলাতেই যুক্ত হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপির ওই কর্মচারী সংগঠন। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে চলা এই মামলায় এদিন সেই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লইস অ্যাস্যোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘ চার বছর ধরে চলেছে এই মামলা। এতদিন কোথায় ছিল এই সংগঠন? বিজেপির সংগঠনকে যুক্ত করা হলে আরও দীর্ঘায়িত হবে শুনানি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়। এরপর বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সংগঠনের আর্জি খারিজ করে দেন।